Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উদযাপন


প্রকাশন তারিখ : 2020-09-27
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উদযাপন বাংলা একাডেমি আজ ১২ই আশ্বিন ১৪২৭/২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার সকাল ১১:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এক বহুমাত্রিক সৃজনপ্রতিভা; বাংলা গদ্যের জনক, নারীহিতৈষী, পরহিতব্রতী, শিক্ষাসাধক, সমাজ-সংস্কারক, সাহিত্যিক, সর্বোপরি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অবিস্মরণীয় মানবপূজারি। এই অসামান্য মনীষার দ্বিশত জন্মবর্ষে আমরা বাংলা একাডেমি পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা, বিদ্যাসাগর স্মারকগ্রন্থ এবং তাঁর রচনাবলি প্রকাশের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব বাস্তবায়িত হলে আমরা তাঁর প্রতি বাঙালি জাতির ঋণ স্বীকারের পথে কিছুটা হলেও অগ্রসর হতে পারবো নিঃসন্দেহে। রবীন্দ্রদৃষ্টিতে বিদ্যাসাগরের চরিতাখ্যান : আপন হতে বাহির হয়ে শীর্ষক বক্তৃতায় অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল বলেন, রবীন্দ্রমতে, ‘বিদ্যাসাগর এই বঙ্গ দেশে একক ছিলেন। তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অজেয় পৌরুষ; তাঁর অক্ষয় মনুষ্যত্ব’। এই মানুষধর্মই বিদ্যাসাগরের মননক্রিয়ায় ও কর্ম সক্রিয়ায় উদ্ভাসিত। বিদ্যাসাগরের মধ্যে যে করুণা-দায়-বেদনা ছিল নিপীড়িতের জন্যে, নারীর দুঃখজর্জর শাস্ত্রধর্মশাসিত জীবনের জন্যে তাদের সঙ্গে সমানুভ‚তি হওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর যে কর্মানুশীলনÑ সেটি আজ আমাদের মননবুদ্ধিতে চর্চা করা প্রয়োজন। সমানুভ‚তিই পারে নিজেকে আত্মকেন্দ্র থেকে বের করে এনে অন্যের বেদনাকে উপলব্ধির মধ্যে আনতে। ফলে তখন মানুষ তৎপর হয় আপন-পর ভেদ ঘুচিয়ে মুক্ত মানুষ হতে। রবীন্দ্রনাথের বিদ্যাসাগরের চরিতাখ্যান এটাই জানায় যে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতা থেকে মুক্ত থাকাটাই হচ্ছে আত্মস্বাধীনতা অর্জনের চাবিকাঠি। এই অর্জনই অপর মানুষকে নিয়ে শুভ কল্যাণময় সমাজ গড়ে তুলতে পারে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, বিদ্যাসাগর খÐিত রেনেসাঁর প্রতিভ‚ ছিলেন না। তাঁর নবজাগরণ-চিন্তা কেবল উপরতলার বিশিষ্টদের জন্য ছিলনা বরং তা ছিল শ্রেণি-নিরপেক্ষ। তাঁর ভাষা-সাহিত্য-শিক্ষাচিন্তা কিংবা নারীভাবনা কোনোটাই কোনো বিচ্ছিন্ন প্রপঞ্চ ছিল না। বরং একটি কেন্দ্রীয় চিন্তাকাঠামোয় তিনি গোটা অনগ্রসর বঙ্গসমাজকে পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, জীবদ্দশায় এবং এখনও বিদ্যাসাগরকে ভ্রান্ত ব্যাখ্যার বেড়াজালে আবদ্ধ করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁর অনন্য জীবন এবং অসাধারণ সৃজন-উভয়ের মধ্য দিয়ে তিনি জন্মের দু’শ বছর পেরিয়ে আজও সমান প্রাসঙ্গিক, সমান দীপ্যমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক সায়েরা হাবীব। অপরেশ কুমার ব্যানার্জী পরিচালক জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ