বাংলা একাডেমি আজ ৩রা চৈত্র ১৪২৯/১৭ই মার্চ ২০২৩ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিস্তারিত
কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকালের কর্মসূচি : সকাল ৮:০০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এবং সকাল ১০:৩০টায় বাংলা একাডেমিতে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার নেৃতত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ১০:৩০টায় কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক শিশু-কিশোর কবিতা আবৃত্তি পরিবেশনায় অর্ধশত শিশুকিশোর অংশগ্রহণ করে।
একক বক্তৃতানুষ্ঠান : বিকেল ৪:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন শীর্ষক বঙ্গবন্ধু বিষয়ক একক বক্তৃতা প্রদান করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম. লোকমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, টুঙ্গিপাড়ার খোকা একসময় সারা বাংলাদেশের নয়নের মণিতে পরিণত হন এবং হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালিকে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দেন। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুকে এক একজন সম্ভাবনাবিন্দু কল্পনা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে।
অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সববয়সী মানুষের আপনজন। বিশেষ করে শিশুকিশোরেরা ছিল তাঁর অতি প্রিয়। তিনি তাদের ভেতর আগামীর বাংলাদেশকে দেখতে পেতেন। এজন্যই তাদের মধ্যে উন্নত চেতনা ও আদর্শ সঞ্চারের চেষ্টা করেছেন সবসময়। একক বক্তা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে রূপকল্প ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নে শিশুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মোঃ আবুল মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তেমনি তাঁরই আদর্শে আমরা এগিয়ে চলেছি স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রূপকল্পে।
এ.এইচ.এম. লোকমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুকিশোরদের ভালবাসতেন এবং তাঁদের উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেন।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, জাতীয় শিশু দিবসে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর মাঝে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের প্রত্যয় বীজমন্ত্রের মতো বপন করতে হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বিকেল ৫:০০টা মুহম্মদ নূরুল হুদার রচনা ও মীর বরকতের নির্দশেনা এবং ‘উদ্ভাস আবৃত্তি সংগঠন’ পরিবেশিত হয় আবৃত্তি প্রযোজনা স্বাধীন জাতির স্বাধীন পিতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত গান পরিবেশন করেন শিল্পী রফিকুল আলম এবং রাজিয়া সুলতানা।
বইয়ের আড়ং
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস ২০২৩, মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৩ এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৩রা চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ/১৭ই মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৭ই বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ/৩০শে এপ্রিল ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বইয়ের আড়ং-এর আয়োজন করা হয়েছে।
আড়ং-এ বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই (২০১০ সাল পর্যন্ত, পুনর্মুদ্রণ ব্যতীত) ৬০% কমিশন ২০১১Ñ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত বই ৪৫% কমিশন (পুনর্মুদ্রণ ব্যতীত) এবং ২০১৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত (পুনর্মুদ্রণসহ) প্রকাশিত বই ২৫% কমিশনে বিক্রি হবে।
বইয়ের আড়ং চলবে ১৭ই মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত অফিস সময়ে (সাপ্তাহিক ছুটির দিনও আড়ং চলবে)। ১লা বৈশাখ ১৪৩০ অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল ২০২৩ থেকে ৩০শে এপ্রিল ২০২৩ আড়ং চলবে সকাল ১০:০০টা থেকে রাত ৮:৩০টা পর্যন্ত।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক