বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ বরণ উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি নববর্ষ বক্তৃতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বইয়ের আড়ং-এর আয়োজন করেছে। আজ ১লা বৈশাখ ১৪২৬/১৪ই এপ্রিল ২০১৯ রবিবার সকাল ৮:০০টায় একাডেমির রবীন্দ্র-চত্বরে নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। নববর্ষ-বক্তৃতা প্রদান করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক মফিদুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
মফিদুল হক বলেন, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নবীন তবে আমাদের সাংস্কৃতিক ভিত্তিটা প্রাচীন। বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতি, দর্শন ও ঐতিহ্য আমাদের সমৃদ্ধ আগামীর জন্য পাথেয় হতে পারে। দীর্ঘ ইংরেজ শাসনামল এবং পাকিস্তান শাসকদের বাঙালি সংস্কৃতি বিরোধী অবস্থান আমাদের গ্রামীণ বৈশাখকে পরাভূত করতে পারেনি। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শক্তিময়তার নিরিখে জয় হোক পহেলা বৈশাখের।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের নববর্ষ ১৪২৬ আমাদের জাতীয় দুটো বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত- একটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও অন্যটি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আমাদের পহেলা বৈশাখকে বাঙালি জাতির উত্থান ও বিকাশের সঙ্গে সমন্বিত করে নিতে পারলে এই উদ্যাপন আমাদের আত্মার হয়ে উঠবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, কণ্ঠশিল্পী সেমন্তী মঞ্জরী, জুলি শারমিন, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, মোঃ মশিউর রহমান রিংকু এবং ইসরাত জাহান জুঁই। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন বেণু চক্রবর্তী (তবলা), মো. আজিজুর রহমান (কী-বোর্ড), মো. ফায়জুর রহমান (বাঁশি), অরূপ কুমার শীল (দোতারা) এবং মোঃ মোবারক হোসেন (বাংলা ঢোল)।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বইয়ের আড়ং
বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একাডেমি প্রকাশিত বইয়ের আড়ং শুরু হয়। উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। বইয়ের আড়ং ১লা বৈশাখ থেকে ১০ই বৈশাখ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১০:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ