আজ ১০ চৈত্র ১৪২৭/২৪ মার্চ ২০২১ বুধবার অমর একুশে বইমেলা ২০২১—এর ৭ম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩:০০টায়। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ১৯৪টি। বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : মুক্তিযুদ্ধে সংবাদ সাময়িকপত্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাফর ওয়াজেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোহাম্মদ সেলিম এবং কুতুব আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসনের প্রায় চব্বিশ বছর, অল্পকিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে সংবাদমাধ্যম বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে সফল পরিণতিতে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিল। পূর্ববঙ্গে স্বাধীন সংবাদপত্র যাতে বিকশিত না হয়, সেজন্য পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠী সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছে। জনমত সৃষ্টি, জনমতের বিশ্বস্ত বাহন হিসেবে সংবাদপত্রকে জনতার সামনে উপস্থাপিত করার কাজে সাংবাদিকরা কঠোর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকরা বারংবার কারাবরণ করেছেন ও স্বৈরাচারী শাসকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, পাকিস্তানি শাসনামলে সংবাদপত্র যেমন বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের ছিল গৌরবজনক ভূমিকা। আর তাই মুক্তিযুদ্ধে সংবাদপত্র ও স্বাধীনতাকামী মুক্তচিন্তার অধিকারী সাংবাদিকদের পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কঠোর নজরদারি ও নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়। সে সময় বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের সমর্থক অকুতোভয় সাংবাদিকগণ ত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাঙালির আন্দোলন—সংগ্রামকে বেগবান করতে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও গণমাধ্যম হিসেবে বেতারের পাশাপাশি সংবাদপত্র বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের চিত্রকে তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তুলেছে।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন হাবিব আনিসুর রহমান, সুদীপ্ত সালাম, সাকিরা পারভীন সোমা।
আগামীকালের অনুষ্ঠানসূচি :
আগামীকাল ১১ চৈত্র ১৪২৭/২৫ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার। অমর একুশে বইমেলার ৮ম দিন। মেলা চলবে বিকেল ৩:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : বাংলাদেশের গণহত্যা ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন স্বদেশ রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক), আহম্মেদ শরীফ এবং চৌধুরী শহীদ কাদের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
আগামীকাল ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসের কালরাত্রি স্মরণে রাত ৯:০০টা থেকে ৯:০১টা পর্যন্ত ‘ব্লাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ