আজ ১৩ চৈত্র ১৪২৭/২৭ মার্চ ২০২১ শনিবার অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এর ১১তম দিন। মেলা শুরু হয় সকাল ১১:০০টায়। আজ নতুন বই এসেছে ১৭৫টি। বিকেল ৪:০০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জালাল ফিরোজ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাব্বির আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন মোঃ মইনুল কবির।
প্রাবন্ধিক ড. জালাল ফিরোজ বলেন, বাংলাশে সংবিধানের মূলনীতি কী হবে তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ই এপ্রিল গণপরিষদে দেওয়া তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন। তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও অভিজ্ঞতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের মানুষের চেতনাজগতে যে পরিবর্তন ঘটে তা প্রতিফলিত হয় সংবিধানের মূলনীতিতে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর তাঁর আদর্শের মর্মমূলে আঘাত করার জন্য সংবিধানের মূলনীতিতে প্রথম আঘাত করা হয়। কিন্তু দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি, বুদ্ধিজীবী সমাজ এবং অগ্রসর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র-সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের মূলনীতিসমূহ সংবিধানে ফিরিয়ে আনা হয়।
আলোচক সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা জানি সংবিধান একটি জাতির আত্মজীবনীস্বরূপ। একটি রাষ্ট্রের ভেতরকার ক্ষমতার সম্পর্ক কেমন হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকে সংবিধানে। আমাদের সংবিধানের মূলনীতিগুলো আকস্মিক কোনো বিষয় ছিল না। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বাংলার মানুষের জন্য যে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগঠনের সংগ্রাম করেছেন, তার পরিণতি ছিল ১৯৭২-এর সংবিধান। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা-ের পর বিভিন্ন পর্বের প্রতিক্রিয়াশীল শাসনকালে ৭২-এর সংবিধানের পরিবর্তন সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়। তবে ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২-এর সংবিধানে প্রত্যাবর্তন আমাদের একটি বড়ো অর্জন।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ মইনুল কবির বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র অভ্যুদয়ের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান পেয়েছি। বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের পরম অভিপ্রায়ের প্রকাশকে মূল্য দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিৎ সংবিধানের মূলনীতিসমূহ ও অন্য সকল মহান আদর্শের বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন সাইম রানা, আহমাদ মোস্তফা কামাল এবং সাইফুল ভূঁইয়া।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ