সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
শহিদ জননী শিক্ষাবিদ জাহানারা ইমাম স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠান
শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক শহিদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে বাংলা একাডেমি আজ ২০শে বৈশাখ ১৪৩০/৩রা মে ২০২৩ বুধবার সকাল ১১:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। জাহানারা ইমামের প্রবহমান লড়াই : যুদ্ধস্মৃতির উদ্ভাসন ও গণহত্যাকারীদের বিচার শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনকি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক, বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাফরিজা শ্যামা। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, জাহানারা ইমাম বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক। জাতির ঐতিহাসিক এক মুহূর্তে যুদ্ধাপরাধবিরোধী গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
মফিদুল হক বলেন, জাহানারা ইমামের জীবন-কর্ম বহুভাবে বিচার করা যায়। তাঁর শিক্ষাকতা জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কথা বলার থাকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সাহসিক ভ‚মিকা পালন করেছেন, নিজ পুত্রকে এগিয়ে দিয়েছেন যুদ্ধের পথে মৃত্যুর ঝুঁকিময় অভিযাত্রায়, যুদ্ধে শহিদ পুত্রের হারিয়ে যাওয়ার দুর্ভার বেদনা বহন করে লিখেছেন যুদ্ধদিনের অভিজ্ঞতার অসাধারণ বয়ান একাত্তরের দিনগুলি, যে-গ্রন্থ তাঁকে এমন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে যা একান্ত তুলনাহীন। তিনি বলেন, আমাদের প্রজন্মের সৌভাগ্য, আমরা তাঁকে কাছে থেকে দেখেছি, তাঁর ¯েœহধারায় সিক্ত হয়েছি। জাহানারা ইমাম নেই কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর ¯েœহধারায় সিক্ত হয়ে চলবে। তবে সেজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন তাঁকে চেনা ও জানা। তাঁর গ্রন্থ ও তাঁর জীবন সেই দীক্ষা দিতে পারে সবাইকে।
রূপা চক্রবর্তী বলেন, জাহানারা ইমাম সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গঠনের লড়াইয়ে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।
নাফরিজা শ্যামা বলেন, শহিদ জননী জাহানারা ইমামের চিন্তা ও আদর্শের আভায় আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হতে হবে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর ঐতিহাসিক যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনের জন্য যুগের পর যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক