Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ মে ২০১৯

কবি হায়াৎ সাইফের প্রয়াণে স্মরণসভা


প্রকাশন তারিখ : 2019-05-20

কবি হায়াৎ সাইফের প্রয়াণে স্মরণসভা 

বাংলা একাডেমি আজ ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬/২০শে মে ২০১৯ সোমবার সকাল ১১:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বিশিষ্ট কবি হায়াৎ সাইফের প্রয়াণে স্মরণসভার আয়োজন করে। সভায় আলোচনা ও স্মৃতিচারণে অংশ নেন- কবি আসাদ চৌধুরী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার, কবি কাজী রোজী, কবি জাহিদুল হক, ফ র মাহমুদ হাসান, সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ, কবি আসাদ মান্নান এবং কবি হায়াৎ সাইফের দুই পুত্র জিসান সাইফ এবং মেহরান সাইফ। হায়াৎ সাইফের স্ত্রী তাহমিনা ইসলাম লাকি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রেরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান। সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ।

বক্তারা বলেন, ষাটের দশকের বিশিষ্ট কবি ও গদ্যকার হায়াৎ সাইফ। প্রথম কবিতাগ্রন্থ সন্ত্রাসে সহবাস (১৯৮৩) থেকে শুরু করে সাম্প্রতিকতম কবিতায় তিনি তাঁর ¯িœগ্ধ ও পেলব স্বাক্ষর রেখে গেছেন। কবিতায় নৈর্ব্যক্তিক ব্যঞ্জনায় ব্যক্তির অন্তর্গত আর্ত অবয়ব যেমন তিনি সুদক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন তেমনি পরোক্ষতার মুদ্রায় দেশ, মাটি ও মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। গদ্যরচনায়ও তাঁর সাফল্য সামান্য নয়। হায়াৎ সাইফের প্রবন্ধগ্রন্থ উক্তি ও উপলব্ধি প্রমাণ করে মৌলিক ধ্যান ও ভাবনাশীল গদ্যের কারুকার হিসেবে তাঁর বিশিষ্টতা। পাশাপাশি গবেষণাগ্রন্থ সংরক্ষণবাদ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর মেধা ও মননের সাক্ষ্য বহন করে। ব্যক্তি হিসেবেও তিনি ছিলেন তুলনারহিত। একজন সদালাপী, সজ্জন, উদার, অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী মানুষের নাম হায়াৎ সাইফ। তারা বলেন, হায়াৎ সাইফের জীবন ও কৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর রচনা সংরক্ষণ এবং একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ জরুরি। 

লিখিত বক্তব্যে এইচ টি ইমাম বলেন, ষাটের দশকের আধুনিক কবিদের মধ্যে হায়াৎ সাইফ ছিলেন অন্যতম। উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে একদিকে যেমন তিনি তাঁর প্রাত্যহিক দায়িত্ব সামলেছেন, অপরদিকে নিজের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা ও চেতনার নিমগ্নতা দিয়ে সৃজন করেছেন অনন্যসাধারণ কাব্যগাথা। সজ্জন, সদালাপী এই মানুষটি কখনো খ্যাতির মোহে ধাবিত হননি, কোন প্রত্যাশা বা উচ্চাকাক্সক্ষার কাছেও নিজের মনোজগতেক বিসর্জন দেননি। নিজের আজন্ম বিশ্বাস, ভাললাগা ও ভালবাসাকে সার্বজনীনতায় লীন করেছেন। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন সময়ের বহমান গতিধারায়, সৃষ্টি কল্যাণে। 

সভাপতির বক্তব্যে রামেন্দু মজুমদার বলেন, হায়াৎ সাইফ বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও সাহিত্যকৃতির অধিকারী ছিলেন। একজন রুচি¯িœগ্ধ, জ্ঞানযোগী মানুষ হিসেবে তাঁর কোনো তুলনা ছিলনা। তাঁর অনন্য কবিতাকৃতির যথাযথ স্বীকৃতি তিনি পাননি কিন্তু এই নিয়ে কখনও তাঁর কোনো আক্ষেপ ছিল না। বরং সৃষ্টি, সুন্দর এবং কল্যাণের পথে তিনি সবসময় নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। আমাদের সকলের স্মৃতিতে হায়াৎ সাইফ এভাবেই ভাস্বর হয়ে থাকবেন।

 

অপরেশ কুমার ব্যানার্জী 

পরিচালক 

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ