সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ অক্টোবর ২০১৯
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
প্রকাশন তারিখ
: 2019-10-10
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আজ ২৫শে আশ্বিন ১৪২৬/১০ই অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সাহিত্যবিশারদের লোকসাহিত্য-চর্চা শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক নেহাল করিম।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, রক্ষণশীল সামাজিক পরিবেশের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তাঁর একজীবনের শ্রম ও সাধনায় বিপুলসংখ্যক পুঁথি সংগ্রহ করেছেন, পাঠোদ্ধার সম্পন্ন করেছেন। তাঁর আবিষ্কৃত পুঁথিসমূহকে সঙ্গত কারণেই ‘মধ্যযুগের মুসলিম বাংলা সাহিত্যে প্রবেশপথের প্রদীপ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কেবল পুঁথি সংগ্রাহক ছিলেন না, লোকসাহিত্যচর্চায়ও তাঁর অবদান স্মরণযোগ্য। যদিও পুঁথি সংগ্রহ ও ইতিহাসচর্চার আড়ালে তাঁর এই দিকটি অনালোচিত থেকে গেছে। অথচ বাঙালি মুসলমানের মধ্যে লোকসাহিত্যচর্চায় সাহিত্যবিশারদ পথিকৃৎপ্রতিম। তিনি বলেন, লোকভাষার শব্দগত বুৎপত্তি নির্ণয়, ছড়া-ধাঁধা-ব্রত-হেঁয়ালি ইত্যাদি সংগ্রহ, ব্যতিক্রমী বাউল গান উদ্ঘাটন এবং এ সমস্ত লোক- উপাদানের ব্যাখ্যা প্রদানে তাঁর ভূমিকা আধুনিক ফোকলোরবিদের মতই। সামাজিক বিবর্তনের ফলে লোকসাহিত্যের আবেদন-হ্রস্বতা বা লুপ্ততার বিষয়টি তাঁকে পীড়া দিত। তিনি এর পেছনে ঔপনিবেশিক শাসনকে দায়ী করেছেন। প্রাচীন সাহিত্যের সংস্কার সাধনের বিপরীতে এর আদিরূপ অক্ষুণœ রাখার পক্ষে তাঁর মত ছিল স্পষ্ট এবং দৃঢ়।
সভাপতির জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা আশা করি পুঁথি সংগ্রাহক এবং লোকসাহিত্যসহ বহু বিষয়ের গবেষক হিসেবে তাঁর অবদান যথাযোগ্য স্বীকৃতি লাভ করবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মাহবুবা রহমান।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ