জাতীয় শোক দিবস ২০২৩
বাংলা একাডেমি আজ ৩১শে শ্রাবণ ১৪৩০/১৫ই আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস স্মরণে দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকালের কর্মসূচি
সকাল ৮:০০টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে ধানমন্ডিস্থ ৩২নং সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে, সকাল ১০:০০টায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা ও ১৫ই আগস্টের অন্যান্য শহিদের সমাধিতে এবং সকাল ১১:০০টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দুপুরের কর্মসূচি
বেলা ০২:০০টায় বাংলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ই আগস্টের সকল শহিদ স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বেলা ০২:৩০টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর জীবনীভিত্তিক তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
বেলা ০৩:০০টায় ছিল বঙ্গবন্ধু-বিষয়ক কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত বিশিষ্ট কবিবৃন্দের কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রূপা চক্রবর্তী, লায়লা আফরোজ, শিমুল মুস্তাফা, মাহিদুল ইসলাম, রুবীনা আজাদ এবং পারভেজ চৌধুরী।
বিকেলের কর্মসূচি
বেলা ৪:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। একক বক্তৃতা প্রদান করেন কবি-গবেষক ড. মোহাম্মদ সাদিক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সঞ্চালনা করেন একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।
একক বক্তৃতানুষ্ঠানের শুরুতে নবান্ন প্রকাশনী প্রকাশিত মুহম্মদ নূরুল হুদার নতুন বই মৌলিক মুজিব-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশনায় অংশ নেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, কবি-গবেষক ড. মোহাম্মদ সাদিক, বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং বইয়ের লেখক বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাস নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর রক্তের অক্ষরে।
ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিভাজ্য সত্তার নাম। তাঁর সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করা এবং একই সঙ্গে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। স্বল্পায়ু জীবনে তিনি আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ যেমন দিয়েছেন তেমনি দিয়েছেন রাষ্ট্র হিসেবে সম্মুখযাত্রার প্রণোদনা। তিনি তাঁর জন্মের শতবর্ষ এবং লৌকিক প্রয়াণের প্রায় অর্ধশতাব্দী পরেও মিশে আছেন আমাদের অনুভবে এবং অঙ্গীকারে।
খলিল আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি তাঁর জীবনব্যাপী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একদিকে বাঙালি জাতিকে স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন অন্যদিকে এই জাতিরাষ্ট্রকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠানের রূপরেখা প্রণয়ন করে গেছেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলা ভাষার এক মৌলিক নাম। তাঁর রক্তধারা বয়ে চলেছে বাংলার প্রতিটি নদীতে। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী; প্রেরণা দিয়ে চলেছেন ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বৈষম্যমুক্ত স্বদেশ গড়ার সতত সংগ্রামে।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা-পর্বে মুহম্মদ নূরুল হুদা রচিত এবং মীর বরকত-এর নির্দেশনায় ‘স্বাধীন জাতির স্বাধীন পিতা’ শীর্ষক আবৃত্তিনাট্য পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘উদ্ভাসন’।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক