জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস স্মরণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তি, শক্তি থেকে জাগরণ, জাগরণ থেকে সোনার বাংলা’ শিরোনামে ১০ দিনব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আজ ২৬শে শ্রাবণ ১৪২৯/১০ই আগস্ট ২০২২ বুধবার বিকেল ৩:০০টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শামসুজ্জামান খান সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু : নানা বর্ণে নানা রেখায়’ গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনাব মফিদুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনলাইন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ. এইচ. এম. লোকমান এবং পরিচালক নূরুন্নাহার খানম।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায় বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিচিত্র রচনার একটি সংকলন। সম্পাদকের ভাষায় ‘দুই পর্বে সাতটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত একটি সুপরিকল্পিত সংকলন’। বেশিরভাগ রচনার রীতি অনুসরণ করলে ক্রমশ টের পাওয়া যায় যে কিশোর পাঠকদের উদ্দেশ্য করেই বইটি রচিত। প্রথম পর্বে রয়েছে ‘জীবনকথা ও মূল্যায়ন’। বইটির দ্বিতীয় পর্বের প্রথম অধ্যায়ে সংকলিত হয়েছে ছড়া—কবিতা ও গান। পরের অধ্যায়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকটি গল্প। গল্পগুলোর কোনো কোনোটায় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ একাকার হয়ে গেছে।
মফিদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায় গ্রন্থটি অত্যন্ত সুশোভিত, সুগ্রন্থিত এবং সুসম্পাদিত। গ্রন্থটির অবয়ব ও সংকলিত লেখাগুলো থেকে একে কিশোর পাঠকদের জন্য রচিত মনে হওয়াই স্বাভাবিক। গ্রন্থের প্রতিটি লেখাই তাৎপর্যপূর্ণ কেননা দেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকগণ তাদের লেখায় বঙ্গবন্ধুকে নানা মাত্রায় এখানে উপস্থাপন করেছেন। স্কুল, কলেজ, গ্রন্থাগার এবং সরকারি— বেসরকারি শিশু সংগঠনগুলোর মাধ্যমে গ্রন্থটি শিশু—কিশোর তথা পাঠকদের হাতে পেঁৗছে দিতে পারলে বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তাদের জানার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে প্রয়াত লোকসংস্কৃতিবিদ শামসুজ্জামান খান সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায় সংকলনে। কেবল কিশোর পাঠক নয়, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক স্মৃতিচারণ, ছড়া, কবিতা, গল্প ও জীবনপঞ্জি সংবলিত এ সংকলনটি সকল বয়সের পাঠকদের কাছে সমাদৃত হবে বলে আশা করা যায়।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক