বাংলা একাডেমি আজ ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯/১৪ই জুন ২০২২ মঙ্গলবার সকাল ১০:৩০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সেলিনা হোসেনের জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন একাডেমির পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ডা. কে. এম. মুজাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সেলিনা হোসেনকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।
আলোচকবৃন্দ বলেন, সেলিনা হোসেন ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে গেছেন। আবারও তিনি সভাপতি হিসেবে ফিরে এসে আমাদের পরিবারের অন্যতম অবিভাবক হয়ে কাজ করছেন। এই প্রতিষ্ঠানে তিনি তাঁর মেধা ও মননের অনেক স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তাঁর লেখা বই দেশের বাইরেও পাঠ্যসূচিতে অন্তভুর্ক্ত হয়েছে এবং জীবিত অবস্থায় তাঁর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে বেশিকিছু গবেষণাকর্ম সম্পন্ন হয়েছে।
সেলিনা হোসেন বলেন, আমার অন্য একটি জায়গায় চাকরি হয়েছিল। আমি সেখানে যোগদান করিনি। বাংলা একাডেমিতে যোগদান করেছিলাম কারণ বাংলা একাডেমিতে যুক্ত হলে নিজেকে তৈরি করতে পারবো এবং নিজের শিল্প—সাহিত্যের জায়গাগুলো বাংলা একাডেমিতেই কাজের মাধ্যমে তৈরি হবে। বাংলা একাডেমি সেই জায়গাটিকে ধারণ করেছিল আর আমি সেখান থেকে নিজেকে তৈরি করেছিলাম। গবেষণা-শিল্প-সাহিত্যচর্চা সব মিলিয়ে বাংলা একাডেমি আমার কাছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, জাতির কথক সেলিনা হোসেন উৎস থেকে নিরন্তর সৃষ্টিসুখী। বাংলা সাহিত্যের এক চির—আধুনিক কথাসাহিত্যিক। বাংলাদেশের সংগ্রামে অভিযাত্রা এবং সেলিনা হোসেনের কথাসাহিত্য যেন সমার্থক।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব)