বাংলা একাডেমি আজ ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬/১৩ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কবি আলাওল স্মরণে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। আলাওলের কবি-কৃতি শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
স্বাগত ভাষণে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, কবি আলাওলের কাব্যসাধনা তাঁর অন্তর্গত ঐশ্বর্যে শতাব্দী পেরিয়ে আজও সমান স্মরণীয়।
একক বক্তা অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা বলেন, সপ্তদশ শতকে রোসাঙে বাংলা সাহিত্য-চর্চার যে ইতিহাস আমরা জানি তাতে আলাওল ও তাঁর রচনা সর্বাধিক সমাদৃত। আলাওলের নানাশ্রেণির রচনা-ঐশ্বর্যের কথা বিবেচনা করে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তাঁকে ‘সপ্তদশ শতকের রবীন্দ্রনাথ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। সাহিত্যবিশারদের এই মূল্যায়নে অতিশয়োক্তি আছে, তবে আলাওলের রচনার ব্যাপকতা ও সেগুলোর উৎকর্ষ উপেক্ষণীয় নয়। ভাষা প্রয়োগে আলাওল বিশেষ সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। আলাওলের অনুবাদে হিন্দি শব্দের ব্যবহার এবং সংস্কৃত শব্দের বাহুল্য আছে। এই সংস্কৃতপ্রিয়তা অনেকের কাছেই প্রশংসিত হয়েছে। আলাওলের রচিত সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষায় নতুন বর্ণের, নতুন ভাবের, নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে নিঃসন্দেহে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সপ্তদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবি আলাওল। বাংলায় রোমান্স বা প্রণয়োপ্যাখান রচনায় দৌলত কাজী ও আলাওলের ভূমিকা পথিকৃতের। বহুখ্যাত পদ্মাবতী আলাওলের অনুবাদকর্ম হলেও এতে তাঁর মৌলিক কবিকৃতির উপস্থিতি লক্ষণীয়।