সাহিত্যিক দীনেশ চন্দ্র সেনের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আজ ১৮ই কার্তিক ১৪২৮/৩রা নভেম্বর ২০২১ বুধবার বিকেল ৪:০০টায় শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অনলাইনে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
স্বাগত বক্তব্যে এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, বাংলা লোকসাহিত্য এবং বাঙালি লোকসংস্কৃতির ভুবনে দীনেশ চন্দ্র সেন এক অবিস্মরণীয় নাম। তাঁকে স্মরণের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সমৃদ্ধ লোকায়ত পটভূমি সম্পর্কে অবগত হতে পারি। একক বক্তা অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, দীনেশ চন্দ্র সেন বাংলা সাহিত্যের লোকায়ত প্রেক্ষাপটকে বিস্মৃতির অন্ধকার থেকে আলোর পরিসরে নিয়ে এসেছেন। জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতা এবং শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করে তিনি তাঁর সারাজীবন লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতিচর্চায় নিবেদন করে গেছেন। ধর্মীয় রক্ষণশীল পরিবেশকে অগ্রাহ্য করে তিনি হিন্দু—মুসলমানের সমন্বিত লোকঐতিহ্যের ধারাকে শক্তিশালী করেছেন; আজকের দিনেও যার প্রাসঙ্গিকতা প্রবলভাবে অনুভূত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, মৈমনসিংহ গীতিকা, পূর্ববঙ্গ গীতিকা—এর মতো অসামান্য স্তম্ভপ্রতিম গ্রন্থ প্রণয়ন করে দীনেশ চন্দ্র সেন বহির্বিশ্বে বাংলা সাহিত্যের লোকায়ত ধারাকে সার্থকভাবে তুলে ধরেছেন। জীবনব্যাপী সাধনায় বাংলা সাহিত্যের আন্তর্জাতিকায়নে অসামান্য ভূমিকা পালন করে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
সমীর কুমার সরকার
পরিচালক (চলতি দায়িত্ব)
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ
বাংলা একাডেমি, ঢাকা