বাংলা একাডেমি আজ ১৭ই মাঘ ১৪২৮/৩১শে জানুয়ারি ২০২২ সোমবার বিকেল ৩:০০টায় বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ফোকলোর বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে অনলাইনে বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান। বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ এবং বাংলা একাডেমির উপপরিচালক, ফোকলোর গবেষক আমিনুর রহমান সুলতান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
স্বাগত ভাষণে এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন বাংলা লোকসংস্কৃতির অন্যতম প্রতিভূ। তাঁকে স্মরণ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।
আলোচকবৃন্দ বলেন, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন তাঁর সম্পাদিত হারামণি সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য এবং বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। আমাদের লোকসংস্কৃতির সুবিপুল সংগ্রহ হারামণি—এর পাতায় পাতায় এ অঞ্চলের তৃণমূলের মানুষের লোকঐতিহ্য বাঙ্ময় হয়ে আছে। তারা বলেন, লোকসংস্কৃতির সংগ্রাহক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন একই সঙ্গে লোকসংস্কৃতির গবেষক হিসেবেও বিশিষ্টতার পরিচয় রেখেছেন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে সাবিহা পারভীন বলেন, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের সাধনা আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে উৎসাহিত করে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন এক সাধক—মানবের নাম। তিনি সারাজীবন লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁর সৌধপ্রতিম অমর কীর্তি হারামণি আমাদের সাংস্কৃতিক গর্ব। বাংলা সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির ঋদ্ধ—বৈচিত্র্যপূর্ণ ধারাকে সম্যক উপলব্ধি করতে মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন—গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।