বাংলা একাডেমি আজ ১২ই মাঘ ১৪২৮/২৬শে জানুয়ারি ২০২২ বুধবার বিকেল ৩:০০টায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে অনলাইনে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান। একক বক্তৃতা প্রদান করেন মধুসূদন গবেষক খসরু পারভেজ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাসনা জাহান খানম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
স্বাগত ভাষণে এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলার কবি, বাঙালির কবি। নানান ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে আমৃত্যু তিনি সাহিত্যের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন।
একক বক্তা খসরু পারভেজ বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যকে নতুন উচ্চতা দান করেছেন। বাংলা কবিতা, নাটক ও প্রহসন তাঁর জাদু-কলমে বিশ্বসাহিত্যের দরবারে সম্মানজনক আসনে উন্নীত হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে বসবাস করেও তিনি কখনও ভুলে যাননি বাংলার শ্যামল মৃত্তিকা ও জলের আহ্বান। অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন থেকে শুরু করে পুরাণের পুনর্জন্ম দান করে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে হাসনা জাহান খানম বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনায় নারীর সংগ্রামী রূপ ফুটে উঠেছে। অসামান্য দরদ ও শক্তিমত্তায় তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মে নারী-পুরুষ উভয়ের সমানাধিকারের বিষয়টি সার্থকভাবে প্রতিফলিত করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা কবিতায় নতুন স্বরের প্রবর্তক। বাংলার ইতিহাস-পুরাণ তাঁর কবিতায় নতুন ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত হয়ে বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা সাহিত্যের সীমানা সম্প্রসারিত করেছে। তিনি বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মের দ্বিশতবর্ষ সমাগত। আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষিত হবে এবং তাঁর সাহিত্যকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।