Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ মার্চ ২০২১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন


প্রকাশন তারিখ : 2021-03-17

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আজ ৩রা চৈত্র ১৪২৭/১৭ই মার্চ ২০২১ বুধবার বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। সকাল ৭:০০টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

সকাল ১১:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক রাশিদ আসকারী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন এবং কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।  
 
স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই ভূখণ্ডের মানুষ ‘বাংলাদেশ’ নামটির সঙ্গে পরিচিত হতে পারত না। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শুধু একটি স্বাধীন ভূখণ্ড উপহার দেন নি বরং একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গঠনের অন্তহীন প্রেরণা দিয়ে গেছেন। 

প্রাবন্ধিক অধ্যাপক রাশিদ আসকারী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজ জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতায় ধাপে ধাপে নিজেকে এবং তাঁর জাতিকে নির্মাণ করেছেন। গণতান্ত্রিক চেতনা ছিল তাঁর ব্যক্তিত্বের মর্মমূলে। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু একই সঙ্গে সংগ্রামী ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের অধিষ্ঠান নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের পরিপূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী মহৎ লক্ষ্যে ধাবিত ছিল তাঁর রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক অভিযাত্রা।    

আলোচকবৃন্দ বলেন, শৈশব থেকেই সাহস, সংকল্প ও দেশ্রপ্রেমের অপর নাম ছিল- শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তৃণমূল থেকে তাঁর শক্তি সঞ্চয় করেছেন এবং ক্রমশ সাধারণ মানুষের দাবি—দাওয়াকে পরিণত করেছেন রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয়ে। তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনীতির দিকপাল ছিলেন না, একই সঙ্গে অর্থনীতি, সমাজনীতি, সমরনীতি— সবক্ষেত্রেই তাঁর দূরদর্শিতা ছিল অসামান্য। দেশের মানুষের বন্দীত্ব—মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনের এক বিশাল অংশ কাটিয়েছেন কারাগারে। 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন মানে বাংলাদেশের জন্মকথাকে স্মরণ কারণ হাজার বছরের ইতিহাসে তিনিই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ভাষাভিত্তিক—অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন।  

 

অপরেশ কুমার ব্যানার্জী 
পরিচালক 
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ