বরেণ্য বিজ্ঞানী ও দার্শনিক আচার্য প্রফুল্লাচন্দ্র রায় স্মরণে বাংলা একাডেমি আজ ১২ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯/২৬শে মে ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩:০০টায় অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম. লোকমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক—সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম এবং বিজ্ঞান লেখক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ জে এম আব্দুল্যাহেল বাকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নূরুন্নাহার খানম।
স্বাগত ভাষণে এ.এইচ.এম. লোকমান বলেন, প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মতো মনীষীদের স্মরণ করেই আমরা আমাদের বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করতে পারি।
আলোচকবৃন্দ বলেন, প্রফুল্লচন্দ্র রায় সত্যিকার অর্থেই ছিলেন অনন্য বাঙালি, বহুত্ববাদী বিশ্বনাগরিক। তাঁর বিজ্ঞানচর্চা শুধু কারিগরি বা প্রযুক্তিগত পরিসরে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং ইহজাগতিক—যুক্তিবাদী সমাজ গঠনের উপাদান ছিল তাতে। একজন অসাধারণ রসায়নবিদ প্রফুল্ল রায় শিক্ষাবিস্তার, সমাজসংস্কার এবং ভারতবর্ষের স্বাধিকার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় রেঁনেসার পুরোধা— প্রবর্তক।
এ জে এম আব্দুল্যাহেল বাকী বলেন, প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মতো গুণী রসায়নশাস্ত্রবিদ এবং গভীর মননের প্রাবন্ধিক সত্যিই বিরল। একজন নিষ্ঠাবান সমাজ—সংস্কারক, দেশীয় ব্যবসা—বাণিজ্য ও শিল্পোন্নতি বিধানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মহান জীবন ও কর্ম থেকে প্রেরণা নিয়ে আমরা বিজ্ঞাননির্ভর, যুক্তিবাদী বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো।
সভাপতির ভাষণে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, প্রফুল্লচন্দ্র রায় একজন বিশিষ্ট এবং বিস্মৃতপ্রায় বাঙালি প্রতিভা। রসায়নশাস্ত্রে এবং সার্বিকভাবে বিজ্ঞানচর্চায় তাঁর অবদান মৌলিক এবং অবিস্মরণীয়। তিনি জাতিভেদ প্রথার ঊর্ধ্বে উঠে স্বদেশের আপামর মানুষের সামাজিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, আবার ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে স্বাদেশিক আন্দোলনের অগ্রভাগে অবস্থান নিয়েছেন।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব)