মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আজ ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮/১৭ই মে ২০২২ মঙ্গলবার দুপুর ১:৩০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম. লোকমান। বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। শেখ হাসিনাকে নিবেদন করে ‘বাঙালির চিত্তে চিরদিন’ শীর্ষক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সায়েরা হাবীব।
এ.এইচ.এম. লোকমান বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু একজন ব্যক্তির প্রত্যাবর্তন নয় বরং ১৯৮১ সালের ১৭ই মে তাঁর দেশে ফিরে আসা অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের অভিযাত্রাকে নিশ্চিত করে।
সেলিনা হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনৈতিকতা এবং মানবিকতার সার্থক সমন্বয় ঘটিয়েছেন। তিনি ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। এদেশের আর্থসামাজিক উন্নতির পাশাপাশি তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জনÑ নারীপুরুষ সমতার সমাজ গঠন, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প, একুশে ফেব্রুয়ারি এবং ৭ই মার্চের বিশ্ব—স্বীকৃতি।
মোঃ আবুল মনসুর বলেন, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ঘাতকরাই পরিণত হয়েছে এদেশের শাসক। তারা আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম বন্ধ করেছে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশকে নেতিবাচক পথে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বাংলাদেশকে আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আভায় স্নাত করার সংগ্রাম শুরু করেন। গণতন্ত্রের লড়াইয়ের পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে এনেছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং ধীরে ধীরে উন্নত—সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। সুতরাং তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস মানেই বাংলাদেশের সুস্থ, সুন্দর এবং সফল সড়কে প্রত্যাবর্তন।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, শেখ হাসিনা বাঙালির সংঘশক্তিকে সম্বল করে ১৯৮১ সালে বৈরি পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে আসেন এবং ক্রমে ক্রমে নিজেকে এদেশের গরিব—দুখি—খেটে খাওয়া মানুষের অবিকল্প নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর অর্জন মানে বাংলাদেশেরই অর্জন। আর শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা মানেই বাংলাদেশের অক্ষত স্বপ্নের ফিরে আসা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে বাংলাদেশের ফিরে আসা, বিশ্বজয়ের পথে বাঙালির দুর্বার এগিয়ে যাওয়া।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব)