বাংলা একাডেমি আজ ২৮শে ফাল্গুন ১৪২৯/১৩ই মার্চ ২০২৩ সোমবার বিকেল ৩:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিক্ষাবিদ, কবি ও লেখক আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। একক বক্তৃতা প্রদান করেন কবি ও প্রাবন্ধিক ড. দিলারা হাফিজ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম. লোকমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বল্পায়ু জীবন পেয়েছেন কিন্তু সৃষ্টিকর্মে বিপুলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তাঁর সাহিত্যসাধনা এবং জীবনচর্যায় সুরুচি এবং সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটেছে সবসময়।
ড. দিলারা হাফিজ বলেন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল তাঁর কবিতা, গান, প্রবন্ধ-গবেষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাহিত্যে অনন্য ধারার সূচনা করেছেন। তাঁর কবিতার গীতিমূল্য এবং গানের কাব্যমূল্য উভয়ই স্বাতন্ত্র্যে সমুজ্জ্বল। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি শিক্ষক হিসেবে তিনি কয়েক প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীর মাঝে ছড়িয়েছেন অনির্বাণ আলোকশিখা।
রাজীব কুমার সরকার বলেন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার সৃজন-মানব। উত্তরপ্রজন্মের সাহিত্যচর্চাকারীদের অবশ্যই আবু হেনা মোস্তফা কামালের রচনার নিবিষ্ট পাঠ নেওয়া প্রয়োজন।
এ.এইচ.এম. লোকমান বলেন, আবু হেনা মোস্তফা কামালের সাহিত্যচর্চা ও সামগ্রিক কর্মসাধনা তাঁকে আমাদের সাহিত্যভুবনে অমর করে রাখবে।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন ব্যতিক্রমী, প্রতিভাবান, সাহসী সাহিত্যসাধক এবং জীবনসাধক। তাঁর কবিতা ও গানে জীবনের আনন্দিত রূপ যেমন অনুপম ব্যঞ্জনায় ভাস্বর তেমনি তাঁর প্রবন্ধ-গবেষণায় অসাধারণ যুক্তিশৃঙ্খলা এবং সুনিপুণ বিশ্লেষণ আমাদের বিস্মিত করে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব-সুজিত মোস্তফার ব্যবস্থাপনায় ‘রেওয়াজ পারফর্মিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি’র পরিবেশনা।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক