Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ মার্চ ২০১৯

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন


প্রকাশন তারিখ : 2019-03-17

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মদিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আজ ৩রা চৈত্র ১৪২৫/১৭ই মার্চ ২০১৯ রবিবার বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। সকাল ৭:০০টায় মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর নেতৃত্বে একাডেমির পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান : বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো সকাল ১১:০০টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো শীর্ষক শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনান কবি কাজী রোজী, শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন, কবি মিনার মনসুর, ডা. আব্দুন নূর তুষার, ডা. নুজহাত চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও লেখক সুভাষ সিংহ রায়। বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বক্তৃতানুষ্ঠান বিকেল ৫:০০টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক রাহাত খান এবং অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত ভাষণে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই ভূখণ্ডে মানুষ বাংলাদেশ নামটির সঙ্গে পরিচিত হতে পারত না। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শুধু একটি স্বাধীন ভূখ- উপহার দেন নি বরং একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গঠনের অন্তহীন প্রেরণা দিয়ে গেছেন। রাহাত খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের মাপ ছিল ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল। শৈশব থেকেই সাহস, সংকল্প ও দেশ্রপ্রেমের অপর নাম ছিল- শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তৃণমূল থেকে তাঁর শক্তি সঞ্চয় করেছেন এবং ক্রমশ সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়াকে পরিণত করেছেন রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্যই আজ বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে বিশ্বসভায় এক বিস্ময়ের নাম। অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনীতির দিকপাল ছিলেন না, একই সঙ্গে অর্থনীতি, সমাজনীতি, সমরনীতি- সবক্ষেত্রেই তাঁর দূরদর্শিতা ছিল অসামান্য। তিনি তাঁর ব্যক্তিত্ব ও অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক নেতায় পরিণত হয়েছেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, দেশের মানুষের বন্দীত্ব-মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনের এক বিশাল অংশ কাটিয়েছেন কারাগারে। আত্মশক্তিতে বিশ্বাসী হয়ে ধাপে ধাপে অগ্রসরমান এই নেতা দেশকে সবসময় ব্যক্তি ও পরিবারের ঊর্ধ্বে স্লোন দিয়েছেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুবীর নন্দী, আলম আরা মিনু এবং অনন্যা আচার্য্য।

 

অপরেশ কুমার ব্যানার্জী

পরিচালক জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ