Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ মার্চ ২০২১

অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এর শুভ উদ্বোধন


প্রকাশন তারিখ : 2021-03-18
আজ ৪ঠা চৈত্র ১৪২৭/১৮ই মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার শুভ উদ্বোধন হলো মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২১’। বিকেল ৩:০০টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২১’ ও অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। শিল্পী শারমিন সাথী ইসলামের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট-এর শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত এবং ঐতিহাসিক ভাষার গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন। প্রকাশক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। স্বাগত ভাষণে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির বিরুদ্ধ-বাস্তবে আমরা নির্ধারিত সময়ের পরে হলেও সকলের সহযোগিতায় আজ থেকে আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা ২০২১ আয়োজন করার সংকল্প গ্রহণ করেছি। জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিসরে বইমেলার স্থান বিস্তৃত করা হয়েছে। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মোঃ বদরুল আরেফীন বলেন, জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে অমর একুশে বইমেলা একটি ঐতিহাসিক শুভ পদক্ষেপ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রতিপাদ্য করে আয়োজিত এবারের মেলা গোটা বাঙালি জাতির প্রাণের মেলা। প্রকাশক প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদ বলেন, করোনা মহামারির বৈরি বাস্তবতায় বিলম্বে হলেও একুশে বইমেলা শুরু হওয়া একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থ প্রকাশনা শিল্পকে প্রণোদনা দেয়া এখন সময়ের দাবি। বিশেষ অতিথি কে এম খালিদ এমপি বলেন, এবারের বইমেলা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত না হলেও আজ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে কারণ বাংলাদেশের মানুষ বইয়ের অনুরাগী ও সংস্কৃতিপ্রেমী। স্বাধীনতার মাস মার্চ থেকে শুরু করে বাংলা নববর্ষ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত এবারের মেলায় সবাই স্বাস্থ্যসচেতন থেকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবেন- এই প্রত্যাশা করছি। সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, একুশের বইমেলা কেবল বই বিকিকিনির উৎসব নয় বরং তাকে আমাদের জাতিসত্তার শেকড়ের বিষয় বিবেচনা করতে হবে। কারণ ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমির এই বইমেলা শুরুর সময়ে ¯েøাগান নির্বাচন করা হয়েছিল ‘একুশ আমাদের পরিচয়’। প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সরকারে কিংবা বিরোধী দলে যেখানেই থাকি, আমি সবসময় বইমেলায় অংশগ্রহণ করি। এবার সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে আপনাদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছি। এবারের বইমেলা আমাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়; করোনা মোকাবেলায় আমরা টিকা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছি। তারপরও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বইমেলায় আসতে হবে। তিনি বলেন, বই আমাদের জ্ঞানের দরজা প্রশস্ত করে। বর্তমানে ডিজিটাল বহু মাধ্যমে বইয়ের বিকল্প পাঠকের কাছে সহজে পৌঁছে গেলেও এখনও ছাপা বইয়ের আবেদন কখনও পুরনো হবার নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাপী এক বিস্ময়ের নাম। তবে আমাদের একই সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের যথাযথ অনুবাদ বিশ্বের ভাষাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। কারণ যথাযথ অনুবাদের মাধ্যমেই আমাদের জনজীবন, সংস্কৃতি ও গণমানুষের অন্তরঙ্গ পরিচয় পাওয়া যাবে। বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত আমার দেখা নয়াচীন-এর ইংরেজি অনুবাদ ১৯৫২-এর গ্রন্থ-উন্মোচন করা হয়। গ্রন্থটি ইংরেজি’তে অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক ফকরুল আলম। বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হয়। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার- ২০২০ পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন: কবিতা-মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্য-ইমতিয়ার শামীম, প্রবন্ধ/গবেষণা-বেগম আকতার কামাল, অনুবাদ-সুরেশরঞ্জন বসাক, নাটক-রবিউল আলম, শিশুসাহিত্য-আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা-সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান-অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনী-ফেরদৌসী মজুমদার, ফোকলোর-মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের হাতে তিন লক্ষ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমির বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নূরুন্নাহার খানম এবং ড. শাহাদাৎ হোসেন। আগামীকালের অনুষ্ঠানসূচি : আগামীকাল ৫ই চৈত্র ১৪২৭/১৯শে মার্চ ২০২১ শুক্রবার। অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন। মেলা চলবে সকাল ১১:০০টা থেকে রাত ৮:৩০টা পর্যন্ত। বিকেল ৪:০০টা বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সুভাষ সিংহ রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আরমা দত্ত এমপি এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অপরেশ কুমার ব্যানার্জী পরিচালক জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon