সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ নভেম্বর ২০১৯
কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের প্রয়াণে শোকবাণী
প্রকাশন তারিখ
: 2019-11-26
ষাটের দশকের বিশিষ্ট কবি, বরেণ্য স্থপতি, বাংলা একাডেমির ফেলো রবিউল হুসাইন আজ প্রয়াত হয়েছেন।
রবিউল হুসাইন (জন্ম : ৩১ জানুয়ারি ১৯৪৩) কুষ্টিয়ার সিরাজুল ইসলাম মুসলিম হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক (১৯৫৯), কুষ্টিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (১৯৬২) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক (১৯৬৮) শিক্ষা সম্পন্ন করেন। জীবনের নানা পর্বে স্থপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশের আধুনিক বাস্তুকলা বিকাশে রবিউল হুসাইন এক বিশিষ্ট নাম। ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তের বেশ কিছু স্থাপত্যকর্ম তাঁর উদ্ভাবনময়, নান্দনিক চিন্তার সাক্ষ্য বহন করছে।
রবিউল হুসাইনের কবিতাগ্রন্থ- সুন্দরী ফণা, কোথায় আমার নভোযান, কেন্দ্রধ্বনিতে বেজে ওঠে, আমগ্ন কাটাকুটি, কবিতাপুঞ্জ; উপন্যাস : বিষুবরেখা; প্রবন্ধ-গবেষণা : বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি; শিশুসাহিত্য : কুয়াশায় ঘরে ফেরা, দুর্দান্ত। সম্পাদনা : কবিতায় ঢাকা সাহিত্যকর্মে তাঁর বৈচিত্র্যপূর্ণ অবদানের নিদর্শন। তাঁর কবিতায় জীবনের নঞর্থকতা অননুকরণীয় ব্যঞ্জণায় ফুটে উঠেছে যদিও শেষ বিচারে তিনি জীবনবাদী দর্শনেরই অনুগামী। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর তাঁর সামগ্রিক সাহিত্যভুবন। গত শতকের ষাটের দশকে না ছোটকাগজের মধ্য দিয়ে এদেশের ছোটকাগজ আন্দোলনেও তিনি তাঁর অঙ্গীকারের প্রমাণ রেখে গেছেন।
বাংলা একাডেমির ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউস-সহ বিভিন্ন স্থাপনা সংস্কার এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা বিন্যাসে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট, জাতীয় কবিতা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থেকে এদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতি-ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।
বাংলা একাডেমি রবিউল হুসাইনের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।