Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ August ২০২২

বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শন জাতীয়করণনীতি এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা’ বিষয়ে আলোচনা


প্রকাশন তারিখ : 2022-08-11

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস স্মরণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তি, শক্তি থেকে জাগরণ, জাগরণ থেকে সোনার বাংলা’ শিরোনামে ১০ দিনব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আজ ২৭শে শ্রাবণ ১৪২৯/১১ই আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার বেলা ৩:০০টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আবুল কাসেম প্রণীত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শন জাতীয়করণনীতি এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা’ গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আবুল মনসুর। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনলাইন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ. এইচ. এম. লোকমান এবং পরিচালক নূরুন্নাহার খানম। 

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে উত্থিত উন্নয়নের দর্শনই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন। এ মহান রাজনীতিবিদ কেবল রাষ্ট্রদর্শনই নয়, অর্থনীতি সম্পর্কেও গভীর জ্ঞান রাখতেন। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন সে বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা দরকার। 

ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী অর্থনৈতিক পরিকল্পনাসমূহ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বিস্ময়কর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মৌলিক উপাদানগুলো কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে প্রয়োগের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তাকে এই গ্রন্থের লেখক বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৯৭২—১৯৭৫ সালের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু কতোটা উচ্চাতায় তুলে এনেছিলেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে আরো কতোদূর এগিয়ে নিয়ে যেতেন, তারই একটি পূর্ণাঙ্গ আকরগ্রন্থ আবুল কাসেমের বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শন। 

আবুল মনসুর বলেন, নিম্নবৃত্ত ও মধ্যবৃত্তের সমাজব্যবস্থায় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য আনয়নই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শনের মূলনীতি। বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন দেশে কৃষি ও শিল্পবিপ্লব ঘটিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা সম্ভব। এ কারণে তাঁর পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন প্রভূত প্রাধান্য পেয়েছে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, রাজনীতির মহান কবি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের মূল কথাই ছিল মানুষ এবং মানুষের কল্যাণ। তিনি যেমন গণতন্ত্রের কথা বলেছেন তেমনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে অর্থনৈতিক নীতিও নির্ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত এ গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 


মোহাম্মদ আকবর হোসেন  
উপপরিচালক