Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ August ২০২২

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী


প্রকাশন তারিখ : 2022-08-08

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব—এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আজ ২৪শে শ্রাবণ ১৪২৯/৮ই আগস্ট ২০২২ সোমবার বেলা ২:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আনোয়ারা সৈয়দ হক প্রণীত ছোটদের বঙ্গমাতা ও আমার রেণু গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি আসাদ মান্নান এবং ড. সাইমন জাকারিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম. লোকমান। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার স্মরণে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বঙ্গজাতিমাতা সংকলন উন্মোচন করা হয়। 

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৮ই আগস্ট জীবদ্দশায় বঙ্গমাতার সর্বশেষ জন্মবার্ষিকী পালিত হয়, যিনি বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের প্রেরণার উৎস ও সহযাত্রী ছিলেন। ছোটদের বঙ্গমাতা এবং আমার রেণু শীর্ষক কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হকের অনন্য দুটি বই বঙ্গমাতাকে নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরেছে। 
আলোচকদ্বয় বলেন, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক রচিত জীবনীগ্রন্থ ছোটদের বঙ্গমাতা এবং উপন্যাস আমার রেণু বঙ্গমাতাকে বিস্মৃতির গর্ভ থেকে যথাযথ মূল্যায়নের আলোয় নিয়ে এসেছে। এই গ্রন্থ দুটি পাঠ করলে আমরা বঙ্গমাতার ধৈর্য, সততা, পরোপকারিতা, নীতিপরায়ণতা এবং দূরদর্শিতা বঙ্গবন্ধুকে কীভাবে একটি স্বাধীন জাতির রূপরেখা প্রণয়ন, স্বাধীনতার বীজমন্ত্র রোপন, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদান এবং স্বাধীন—সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যোগ্য পরিচালনায় প্রভূত সহায়তা করেছে- তার ব্যাখ্যা লাভ করবো। তারা বলেন, গ্রন্থ দুটির নিবিড় পাঠে আমরা অনুধাবন করবÑ বঙ্গবন্ধুর জীবনপথের সঙ্গী ফজিলাতুন নেছা মুজিব মৃত্যুতেও তাঁর সঙ্গী হয়ে চিরজীবিত মহামানবী হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। 

কে এম খালিদ এমপি বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর জীবনসঙ্গী ছিলেন না, একইসঙ্গে তিনি ছিলেন তাঁর সংগ্রামী সাথী। পঞ্চান্ন বছরের জীবনে অধিকাংশ সময় চরম বৈরিতা ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজে সম্মুখে অগ্রসর হয়েছেন, একই সঙ্গে জাতিকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করেছেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর এই ঐতিহাসিক অভিযাত্রায় বঙ্গমাতা ছিলেন প্রধান সাহস ও সহায়। তিনি বলেন, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক রচিত স্মরণীয় গ্রন্থ দুটিতে বঙ্গমাতাকে ইতিহাসের তথ্য ও সত্যের আলোকে অসামান্য ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত করা হয়েছে। 

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গমাতা বাঙালির জাতির অনিঃশেষ প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব ও সংগ্রামী পথচলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সঙ্গী হিসেবে তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকার যথাযথ আলোচনা ও বিশ্লেষণে অত্যন্ত প্রয়োজন। কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হকের গ্রন্থ দুটি বঙ্গমাতার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। 
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ। 
 
মোহাম্মদ আকবর হোসেন  
উপপরিচালক