আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
বাংলা একাডেমি আজ ২৬ আশ্বিন ১৪২৭/১১ই অক্টোবর ২০২০ রবিবার সকাল ১১:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সাহিত্যবিশারদ : পুথিপ্রেমিকের লোকসংস্কৃতি সন্ধান শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলা একাডেমি মহান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাডেমির মূল মিলনায়তনের নামকরণ করেছে ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন’। সাহিত্যবিশারদের রচনাবলি, অভিভাষণসমগ্র, জীবনী ও নিবেদিত প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশের মাধ্যমে একাডেমি বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানকে স্মরণ করেছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের জন্মের সার্ধশতবর্ষকে কেন্দ্র করে তাঁর জীবন ও কৃতি বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকর্ম সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করি।
অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, সাহিত্যবিশারদ আগ্রহ ও সন্ধিৎসা কেবল পুথির জগতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর বিচিত্রমুখী অনুরাগ ও কৌত‚হল প্রসারিত হয়েছে ইতিহাস, লোকসংস্কৃতি, ধর্মতত্ত¡, ভাষাতত্ত¡, সাহিত্য-সমালোচনা, রাজনীতি, এমনকি আধুনিক সাহিত্যের প্রতিও। ঐতিহ্য-অন্বেষার সূত্রেই তাঁর লোকসংস্কৃতিচর্চার সূচনা। একদিকে তিনি ছিলেন ফোকলোর-উপকরণের নিষ্ঠ সংগ্রাহক, অপরপক্ষে এই বিষয়ের প্রাজ্ঞ আলোচক। অজ্ঞাত-লুপ্ত ঐতিহ্য-উপাদানের সন্ধান, জন্মভ‚মির মহিমা-প্রচার ও স্বদেশ-আবিষ্কারের চেতনা থেকেই সাহিত্যবিশারদ ফোকলোরচর্চার ব্রতী হন। তাই বলা চলে, তাঁর পুথি-সংগ্রহ ও আলোচনার পরিপূরক কাজ ছিল এই লোকসংস্কৃতি-চর্চা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন এক অসাধারণ বঙ্গীয় মনীষা। বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা বিতর্কের আদিপর্বে বাংলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি আমাদের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। পাশাপাশি বাঙালির আত্মসত্তা বিকাশের পূর্ণ পরিচয় ধারণ করেছে সাহিত্যবিশারদের পুথিসাধনা, লোকসংস্কৃতিচর্চা এবং তাঁর সামগ্রিক জীবনসংগ্রাম।