বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ স্মরণে বাংলা একাডেমি আজ ১৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯/২৯শে মে ২০২২ রবিবার বেলা ১১:০০টায় অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা এবং স্বকৃত নোমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নূরুন্নাহার খানম। সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সায়েরা হাবীব। অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত অমর একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
সূচনা বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বাংলাদেশে বসে বিশ্বেমানের সাহিত্য সৃজন করেছেন। তাঁর গল্প, উপন্যাস এবং নাটকে এদেশের মাটিবর্তী মানুষের কণ্ঠস্বর অসাধারণ শিল্পসুষমায় ভাস্বর হয়েছে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র কথাসাহিত্যে দেশভাগের বেদনা যেমন উঠে এসেছে তেমনি ব্যক্তির মনোজগৎ অনন্য শিল্পরীতিতে প্রস্ফূটিত হয়েছে। তিনি চেতনাপ্রবাহরীতিসহ সাহিত্যের সর্বসাম্প্রতিক আঙ্গিক ব্যবহার করেছেন কিন্তু একই সঙ্গে মনোযোগে রেখেছেন সাধারণ পাঠকের কথাও। তাই আমরা দেখি দশকের পর দশক পেরিয়ে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ একজন বহুলপঠিত বাঙালি কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিগণিত ও সম্মানিত।
হাসনা জাহান খানম বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ শুধু একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিকই ছিলেন না, ছিলেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিসংগ্রামের স্বপক্ষে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন থেকে উত্তরপ্রজন্মের নিবিড় সাধনা এবং দেশপ্রেমের শিক্ষা নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ একজন বহুমাত্রিক সাহিত্যশিল্পী। তাঁর গল্প, উপন্যাস, নাটকে আমরা পাই সাধারণ মানুষের অসাধারণ উপস্থাপন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করলেও কখনও বাংলাদেশ বা বাংলাভাষাকে বিস্মৃত হননি যা প্রকৃত বিশ্বমানবের বৈশিষ্ট্য।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব)