Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আজ ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৯/২১মাঘ ১৪২৫ রবিবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৩য় দিন। গ্রন্থমেলা চলে বেলা ৩:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ১৩৮টি।


প্রকাশন তারিখ : 2019-02-03

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯

আজ ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৯/২১মাঘ ১৪২৫ রবিবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৩য় দিন। গ্রন্থমেলা চলে বেলা ৩:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ১৩৮টি।

বিকেল ৪:০০টা গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ এবং অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। বলা হয়ে থাকে উনসত্তর না হলে সত্তরের নির্বাচন হতো না আর সত্তর না এলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধও হতো না। বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা আরো প্রলম্বিত হতো-অধিকারহারা মানুষকে হয়তো জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হতো। প্রসঙ্গত এ কথা উল্লেখ করাও যৌক্তিক যে উনসত্তর হঠাৎ করে আসেনি। উনসত্তরের প্রেক্ষাপট তৈরির সংগ্রাম দীর্ঘ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি এবং ছাত্রসমাজের সংগ্রামী ভূমিকার প্রতি আস্থা রেখে সর্বস্তরের মানুষ উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল সুন্দর জীবনের আশায়। রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অধিকারের পাশাপাশি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে এসেছিলো অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবার প্রত্যাশা নিয়ে। আর সে কারণেই স্কুলছাত্র মতিউর জীবন দেয়, জীবন দেয় শ্রমিক মনু মিয়া।

আলোচকবৃন্দ বলেন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহিদের স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। এই অভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ সংকেত। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আর্থ-সামাজিক-রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির স্বপ্নে পঞ্চাশ বছর আগে মানুষ পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামো ও সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে ছিল। আজ গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তী এবং স্বাধীনতার আসন্ন সুবর্ণজয়ন্তীর প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে মানুষের সে স্বপ্নপূরণের দিন এসেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে-গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তীতে এ আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান অত্যন্ত গুরুত্ববহ ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের এক বৃহৎ প্রস্তুতিপর্ব এই গণঅভ্যুত্থান। মুক্তিযুদ্ধের মর্ম অনুধাবন করতে হলে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের বিশদ বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি রবিউল হুসাইন এবং আলতাফ হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম ও ঝর্ণা সরকার। সংগীত পরিবেশন করেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, আবদুর রশিদ এবং নূসরাত বিনতে নূর। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন সুবীর চন্দ্র ঘোষ (তবলা), সুনীল কুমার সরকার (কী-বোর্ড), নাজমুল আলম খান (মন্দিরা) এবং অসিত বিশ্বাস (এসরাজ)। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের সাহিত্যকর্ম বিষয়ে আলাপনে অংশ নেন আবুল কাশেম, দিলদার হোসেন, শামীম রেজা, অদিতি ফাল্গুনী এবং কৌস্তুভ শ্রী। 
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহবুবা রহমান।

আগামীকালের অনুষ্ঠানসূচি : 
আগামীকাল ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০১৯/২২ মাঘ ১৪২৫ অমর একুশে গ্রন্থমেলার চতুর্থ দিন। মেলা চলবে বেলা ৩:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।

বিকেল ৪:০০টা গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নূহ-উল-আলম লেনিন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অপরেশ কুমার ব্যানার্জী 
পরিচালক 
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ