সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে
একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আজ ১২ই ভাদ্র ১৪৩১/২৭শে আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
সকাল ৭:০০টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাঃ নায়েব আলীর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সকাল ১১:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। নজরুল বিষয়ক একক বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক মাহমুদ শাহ কোরেশী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাঃ নায়েব আলী।
ড. সরকার আমিন বলেন, নানান বিভাজনে আচ্ছন্ন সময় ও সমাজে নজরুল চিরকালীন অভেদসুন্দরের সাধনা করেছেন। তিনি মানুষকে মানুষের মর্যাদায় বিবেচনা করেছেন এবং তাঁর জীবন ও সৃষ্টিতে শাশ্বত মানবতার জয়গান গেয়েছেন।
অধ্যাপক মাহমুদ শাহ কোরেশী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর স্বল্পকালীন সক্রিয় সাহিত্যজীবনে বিস্ময়কর সৃষ্টি আমাদের উপহার দিয়েছেন। কবিতায় তিনি বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যের মৌলিক প্রতিভা। নজরুলগীতি বাংলা গানে সঞ্চার করেছে প্রেম ও বিরহের নতুন জোয়ার। মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশে নজরুলের অবদান ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয়। তাঁর ‘বর্তমান বিশ্বসাহিত্য’ প্রবন্ধ এবং আন্তর্জাতিক শ্রমসংগীতের সাবলীল অনুবাদ সমসাময়িক আন্তর্জাতিক শিল্প-সাহিত্য ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গে গভীর জ্ঞানেরই পরিচয়বহ। তিনি বলেন, নজরুল নিত্য চর্চার বিষয়। আজকের নতুন প্রজন্ম নজরুলের অসাধারণ জীবন ও অনন্য সৃষ্টি সম্পর্কে যথাযথ ধারণা লাভ করলে একটি মানবিক স্বদেশ ও পৃথিবী গড়ার কাজ সহজ হবে।
মোহাঃ নায়েব আলী বলেন, নজরুলের কবিতা ও বিদ্রোহ-সাধনা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের তারুণ্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেরণা লাভ করেছেন। ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম জীবনের অধিকারী নজরুল গোটা জাতিকে জাগরণের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত। নজরুলের মানবতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা যদি আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করি, তাহলেই নজরুলকে স্মরণ সার্থক হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নজরুলগীতি পরিবেশন করেন প্রখ্যাত শিল্পী ফেরদৌস আরা এবং শিল্পী ফারহানা শিরিন। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন কাজী মো. ইমতিয়াজ সুলতানা (তবলা), ফিরোজ খান (সেতার), মো. নূর-এ আলম সজীব (কী-বোর্ড) এবং গাজী আব্দুল হাকিম (বাঁশি)।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মাহবুবা রহমান।
নার্গিস সানজিদা সুলতানা
উপপরিচালক
জনসংযোগ উপবিভাগ