১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০/২৮শে মাঘ ১৪২৬ মঙ্গলবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১০ম দিন। মেলা চলে বেলা ৩:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ১৫২টি।
বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মোহাম্মদ আলী খান রচিত ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আতাউর রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাবেক সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার ও কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ। গ্রন্থের লেখকের বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মদ আলী খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
প্রাবন্ধিক বলেন, ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে যে সব মানুষ একে অন্য থেকে বিচ্ছিন্ন থাকত, তারা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন বোধ করছিল। এই প্রয়োজনবোধ থেকেই জন্ম হয়েছিল সংবাদ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা, আর সেটারই পরিণামে ভূমিষ্ট হয় প্রাথমিক ডাক-ব্যবস্থা। তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি বিধায় স্বভাবতই বাংলাদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রাধান্য পাওয়ারই কথা, সেটাই ঘটেছে। ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু গ্রন্থটিতে লেখক চিত্রাদি সহকারে বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই তাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকিট ও মুদ্রা থাকে। আমাদের বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের পাশাপাশি আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিও আমরা ডাকটিকিট ও মুদ্রায় স্থাপন করেছি। এই গ্রন্থে বাংলাদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে তথ্য বহুল আলোচনা স্থান পেয়েছে যা নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে একটি অনন্য সংযোজন।
গ্রন্থের লেখক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের ডাকটিকিট ও মুদ্রার ইতিহাস নিয়ে লিখিত এ গ্রন্থ আমার লেখক জীবনের পরম গর্বের বিষয় হয়ে থাকবে। আমরা আশা করব, শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকিট প্রকাশিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফজলে কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকিট ও মুদ্রা নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশের এ উদ্যোগ অত্যন্ত শ্রমসাধ্য ও প্রশংসনীয়। ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের লেখক মোহাম্মদ আলী খান প্রচুর তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে এই সচিত্র গ্রন্থটি রচনা করেছেন যা সকল শ্রেণির পাঠকের কাছেই সমাদর পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি সোহরাব পাশা, রহিমা আখতার কল্পনা, শিহাব শাহরিয়ার এবং অনিকেত শামীম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহফুজুর রহমান, অনন্যা লাবনী পুতুল এবং শহিদুল ইসলাম নাজু। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রথীন্দ্রনাথ রায়, শফি মণ্ডল, সালমা চৌধুরী, মো. রেজাউল করিম এবং শুভ্রা দেবনাথ। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সমস্বর’। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন গৌতম মজুমদার (তবলা), মো. হাসান আলী (বাঁশি), মো. দেলোয়ার হোসেন (দোতারা), আনোয়ার সাহদাত রবিন (কী-বোর্ড)।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন সুহিতা সুলতানা, তাপস রায়, মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এবং সাঈদ আজাদ।
আগামীকালের অনুষ্ঠানসূচি :
আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০/২৯শে মাঘ ১৪২৬ বুধবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১১তম দিন। মেলা চলবে বেলা ৩:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত।
বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অনুপম হায়াৎ রচিত বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাজেদুল আউয়াল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন মোরশেদুল ইসলাম ও মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ