Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ অক্টোবর ২০২২

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতানুষ্ঠান


প্রকাশন তারিখ : 2022-10-11
বাংলা একাডেমি আজ ২৬শে আশ্বিন ১৪২৯/১১ই অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে দোভাষী পুথি সম্পর্কে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের দৃষ্টিভঙ্গির ঐতিহাসিক-সাংস্কৃতিক পটভূমি শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান। সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক 
ড. সাইমন জাকারিয়া। 
 
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা একাডেমি মহান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাডেমির মূল মিলনায়তনের নামকরণ করেছে ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন’। সাহিত্যবিশারদের রচনাবলি, অভিভাষণসমগ্র, জীবনী ও নিবেদিত প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশের মাধ্যমে একাডেমি বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানকে স্মরণ করেছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি আগামী বছর আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের জন্মবার্ষিকী আরও বর্ণাঢ্য পরিসরে পালন করবে এবং সাহিত্যবিশারদকে নিয়ে এ পর্যন্ত পঠিত প্রবন্ধের একটি সংকলন প্রকাশ করবে। 
 
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদী কেতায় সাহিত্যবিশারদকে পাঠ করা সম্ভব; আর সেক্ষেত্রে দোভাষী পুথি সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি খুব সহজে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু সাহিত্যবিশারদের সামগ্রিক আত্মসত্তার চিহ্নায়নে বাঙালি মুসলমান বা মুসলমান পরিচয়ও খুবই গভীর ও কার্যকরভাবে উপস্থিত। সেক্ষেত্রে দোভাষী পুথির প্রতি তাঁর প্রবল বিরাগ বা বিতৃষ্ণার ব্যাখ্যা এতটা সহজ হয় না। তিনি বলেন, কলকাতায় বিকশিত পুরনো পুথি সম্পাদনা ও প্রকাশের বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি সাহিত্যবিশারদের দোভাষী পুথি-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির অন্যতম উৎস। তৎকালীন মুসলমান এলিটের দৃষ্টিভঙ্গির প্রত্যক্ষ চিহ্ন বহন করে তাঁর এ দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমকালীন উদারনীতিবাদী ও সম্প্রদায়-সমন্বয়ের চালু কেতাগুলো দোভাষী পুথি সম্পর্কে তাঁর সিদ্ধান্তের ভিত্তি হিসাবে কাজ করেছে। 
 
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন এক অসাধারণ বঙ্গীয় মনীষা। বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা বিতর্কের আদিপর্বে বাংলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি আমাদের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। পাশাপাশি বাঙালির আত্মসত্তা বিকাশের পূর্ণ পরিচয় ধারণ করেছে সাহিত্যবিশারদের পুথিসাধনা, লোকসংস্কৃতিচর্চা এবং তাঁর সামগ্রিক জীবনসংগ্রাম।
 
 
মোহাম্মদ আকবর হোসেন  
উপপরিচালক