বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন স্মরণে বাংলা একাডেমি আজ ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯/২৪শে মে ২০২২ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০টায় অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির সচিব এ.এইচ.এম. লোকমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফ ও নিসর্গবিদ মোকারম হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা একাডেমির প্রয়াত মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর ১ম প্রয়াণবার্ষিকী স্মরণে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নূরুন্নাহার খানম।
স্বাগত ভাষণে এ.এইচ.এম. লোকমান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন এক রেনেসাঁ—মানবের নাম; যিনি শিক্ষা—বিজ্ঞান—সাহিত্য—সংগীত সর্বক্ষেত্রে নতুন যুগের বার্তা বয়ে এনেছেন, ঘনীভূত অন্ধকারে আলোর দিশা দেখিয়েছেন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ। বিজ্ঞানকে মাতৃভাষা বাংলায় জনবোধ্য করতে তিনি আমৃত্যু অসাধারণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। বাঙালি মুসলমানের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে যেমন তিনি নিরলস প্রয়াস চালিয়েছেন তেমনি তাঁর মৌলিক চিন্তার প্রবন্ধ—নিবন্ধ বাংলা সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। তারা বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সুহৃদ কাজী মোতাহার হোসেন নজরুল—চর্চাতেও বিশেষ অবদান রেখে গেছেন।
মনিরুল আলম বলেন, জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন এক আলোকবর্তিকার নাম; যিনি জীবনব্যাপী আলোকসাধনা করেগেছেন। বিজ্ঞান—গবেষণায়, সাহিত্য—সাধনায়, সংগীত—চর্চায় তাঁর অবদান মৌলিক এবং অনন্যসাধারণ।
সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। বাংলা ভাষা চর্চায় যেমন তিনি প্রাগ্রসর—ব্যক্তিত্ব তেমনি মহান ভাষা আন্দোলনের তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটর তৈরিরও অন্যতম কারিগর তিনি। আমৃত্যু জ্ঞানের সাধনায় আত্মোৎসর্গকারী জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের কর্মময় জীবন থেকে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
মোহাম্মদ আকবর হোসেন
উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব)