জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
আজ ১২ই ভাদ্র ১৪২৭/২৭শে আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার সকাল ৯:০০টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। একক বক্তৃতা প্রদান করেন এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, নজরুল সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন; বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের মাধ্যমে সে স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিলেন। নজরুল তাঁর কবিতায় সমষ্টিমানুষের মুক্তির প্রত্যাশা প্রকাশ করে গেছেন; বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দিয়ে সে মুক্তিকে আসন্ন করেছেন। এভাবে আমরা আমাদের জাতির পিতা ও জাতীয় কবিকে অভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে বিবেচনা করতে পারি।
একক বক্তা এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, খণ্ডিত পাঠে পূর্ণাঙ্গ নজরুলকে আবিষ্কার করা ও ধারণ করা সম্ভব নয়। এজন্য গভীর অনুসন্ধান এবং অভিনিবেশ প্রয়োজন। নজরুল-জীবন ও সাহিত্যকে যথার্থভাবে মূল্যায়নে আমরা নানান সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হই। তিনি বলেন, নজরুল তাঁর সমকালে যেমন রক্ষণশীল-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তেমনি সংকীর্ণমনা সাহিত্য সমালোচকেরাও তাঁকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করেছেন। তবে নজরুল তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন এবং অসাধারণ সৃষ্টির দ্বারা এসব ডিঙিয়ে বাংলা সাহিত্যে ও বাঙালি জীবনে অমরতার আসন নিশ্চিত করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, নজরুলের বৈরী-পক্ষ তাঁর সমকালেও সক্রিয় ছিল কিন্তু তিনি শৈল্পিকভাবে সেসব প্রতিক‚ল পরিবেশ-প্রতিবেশ মোকাবেলা করেছেন। সামগ্রিক বাংলা সাহিত্যের পটভ‚মিকায় তাঁর বিশিষ্ট স্থান কখনও ¤øান হবার নয়। বাঙালিত্বের উদ্বোধন ও বিকাশে নজরুলের কালজয়ী ভ‚মিকার কোন তুলনা নেই।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম এবং নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী লীনা তাপসী খান।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ