Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মার্চ ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিষয়ে একক বক্তৃতানুষ্ঠান


প্রকাশন তারিখ : 2019-03-07

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের বার্ষিকীতে বাংলা একাডেমি ২৩ ফাল্গুন ১৪২৫/৭ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ৭ই মার্চ ১৯৭১ থেকে ৭ই মার্চ ২০১৯Ñএই পরিক্রমায় বাঙালি জাতিসত্তা, ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতি যে পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে তার মূলে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ঐতিহাসিক অবদান। অনন্তকাল ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ভাষণ বাংলার মানুষের সার্বিক মুক্তির সনদ এবং বিকাশের সূত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ : ইতিহাস কথা কয় শীর্ষক একক বক্তৃতায় ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ১৯৭১-এ প্রদত্ত ১৮ মিনিটের ভাষণটি তাঁর স্বভাবসুলভ তাৎক্ষণিক বক্তব্য ছিল, পূর্বে তৈরি করা বক্তৃতা নয়। এটিকে অনেকেই রাজনীতির কবিতা বলে থাকেন। তুলনা করা হয় আব্রাহাম লিংকন, উইনস্টন চার্চিল, মার্টিন লুথার কিং ও পেরিক্লিসের মহতী যুগান্তকারী ভাষণগুলোর সাথে। এর মহত্ত্ব ও বিরাটত্বের কারণে ২০১৭ সনের অক্টোবরে জাতিসংঘের এডুকেশন, কালচার ও সাইন্টিফিক অর্গানাইজেশন, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের অসাধারণ ভাষণটিকে পৃথিবীর অন্যতম ‘ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভাষণটির অসাধারণত্ব, এর স্বতঃস্ফূর্ততা, নির্ভীকতা, সম্যক উপলব্ধি ও তেজস্বী উচ্চারণ প্রকৃতপক্ষে বাঙালি জনগণের প্রথমবারের মতো স্বাধীনতার চরম ও পরম আকাক্সক্ষাকে বাক্সময় করে তোলে। ভাষণটি অবশ্যই বহুমাত্রিক গুরুগম্ভীর ও ওজনদারÑ প্রকৃতপক্ষে বাঙালি ও শেখ মুজিবের স্বপ্নসাধনার স্বাধীনতা ও মুক্তির সুস্পষ্ট উচ্চারণ এটি। সামগ্রিক বিচারে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি স্বাধীনতাকে সংজ্ঞায়িত করেছে, চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা অর্জনের দিকনির্দেশনা দিয়েছে, প্রকাশ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের রূপরেখা-রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা এবং কল্যাণরাষ্ট্রে বিশেষ করে কম ভাগ্যবানদের অর্থনৈতিক মুক্তিসহ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর বলিষ্ঠ প্রত্যয় আছে এ ভাষণের বাক্যগুলোর অন্তরে অন্তরে।

সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ৭ই মার্চের সংক্ষিপ্ত ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ইতিহাস ও সমকালীন রাজনীতির বিশ্বস্ত ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। মৌখিক এই ভাষণ যারাই শুনেছেন, তারাই এর অসামান্য মর্ম উপলব্ধি করেছেন। সঙ্গত কারণেই এ ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ড. এম সাইদুজ্জামান, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি কাজী রোজী, কবি রুবী রহমান, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, কবি কামাল চৌধুরী, কবি হারিসুল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক সায়েরা হাবীব।

 

অপরেশ কুমার ব্যানার্জী

পরিচালক

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ