জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতানুষ্ঠান
বাংলা একাডেমি আজ ২২শে ফাল্গুন ১৪২৭/৭ই মার্চ ২০২১ রবিবার সকাল ১১:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: পটভ‚মি ও তাৎপর্য শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত এবং কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান।
স্বাগত ভাষণে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য-অসাধারণ ভাষণ। বঙ্গবন্ধু যে পরিস্থিতির মধ্যে এই ভাষণ দিয়েছেন সেটি বিবেচনায় পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভাষণ দ্বিতীয়টি নেই। এই মহান ভাষণ কেবল মানবিক আবেদনের জন্য নয়, শৈল্পিক কারণেও উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু কেবল একটি স্বাধীন জাতির স্বপ্ন উল্লেখ করেই থেমে যাননি; তিনি সেই স্বাধীনতা অর্জনের সমস্ত উপায়ও বলে দিয়েছেন।
একক বক্তৃতা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে রয়েছে এক সংগ্রামী ও ঐতিহাসিক পটভ‚মি। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও শাসকচক্রের বাঙালি-বিনাশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার শাণিত স্বর ছিলÑ ৭ই মার্চের ভাষণ। সম্পূর্ণ প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সেদিন বাঙালিকে সম্মুখ-সমর ও গেরিলাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন, এই ভাষণ স্বাধীনতা অর্জনের উপায় এবং স্বাধীনতা সংহতকরণের নিদের্শনাও বটে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের একটি নির্দেশে রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের নাম ৭ই মার্চ।
সভাপতির অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ৭ই মার্চের মতো এমন দিন কোনো জাতির জীবনে সচরাচর আসেনা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মতো এমন ভাষণও অন্য কারও পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিলনা কারণ তিনি ছিলেন বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে স্বাধীনতার প্রথম সার্থক রূপকার। এ বছর মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মতো আমরা ৭ই মার্চের ভাষণেরও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছিÑ এ আমাদের পরম অহঙ্কার ও গৌরবের বিষয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ