Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯

কবি শামসুর রাহমানের ৯১তম জন্মদিন উদযাপন


প্রকাশন তারিখ : 2019-10-23

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৯১তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ এবং শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদ-এর যৌথ উদ্যোগে আজ ৭ই কার্তিক ১৪২৬/২৩শে অক্টোবর ২০১৯ বুধবার বিকেল ৫:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা, নিবেদিত কবিতাপাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। 

আজ কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষের সামনে কবির প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের শরুতে বাংলা একাডেমির সাবেক কর্মকর্তা প্রাবন্ধিক-অনুবাদক আরশাদ আজিজের প্রয়াণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

শামসুর রাহমানকে ঘিরে স্মৃতিচারণ ও আলোচনায় অংশ নেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ। 

কবিকে নিবেদিত কবিতাপাঠে অংশ নেন রবিউল হুসাইন, আনোয়ারা সৈয়দ হক, কাজী রোজী, লিলি হক, শিহাব সরকার, ফারুক মাহমুদ, হাসান হাফিজ, রেজাউদ্দিন স্টালিন, নাহার ফরিদ খান, পিয়াস মজিদ, হানিফ খান। কবির কবিতা আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম, লায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী, ফয়জুল আলম পাপ্পু এবং শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে সংগীত পরিবেশন করেন রফিকুল আলম এবং আবিদা রহমান সেতু। কবির কবিতা অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন সাহিদা রহমান সুরভি। 

অনুষ্ঠানে শামসুর রাহমানের পুত্র ফাইয়াজ রাহমান, পুত্রবধূ টিয়া রাহমান, পৌত্রী নয়না রাহমান, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল, লেখক-সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক, গবেষক ড. ইসরাইল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, শামসুর রাহমানের কবিতা ধারণ করেছে আমাদের সমাজসত্তার সামগ্রিক বিবর্তন। তিনি আমাদের চেতনার কাব্যিক রূপকার। ভাষা আন্দোলন পূর্ববাংলার কবিতাকে যেভাবে বদলে দিয়েছে শামসুর রাহমানের কবিতাকেও সে প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হবে। নিভৃত কাব্যলোক থেকে তিনি সমকালের রক্তক্ষতে আলোড়িত হয়েছেন, জাতীয় জীবনের মূল কেন্দ্রস্বরকে তাঁর জীবনচেতনায় ভাস্বর করে তুলেছেন। নির্জনতা ও নিঃসঙ্গতা থেকে শামসুর রাহমান যেভাবে জনতার স্বাধীনতাকামী ময়দানে কবিতাকে নিয়ে এসেছেনÑ তা বাংলা কবিতার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তারা বলেন, বাংলাদেশের সমাজমানসের বিবর্তনের সঙ্গে শামসুর রাহমানের কবিতাকে মিলিয়ে পাঠ করলে আমরা দেখব তিনি এ অঞ্চলের সমস্ত সংগ্রামী, সদর্থক ও শুভবাদী আকাক্সক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ অনুভব করেছেন। শিল্পমান অক্ষুণœ রেখেও কবিতাকে যে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায়- সে সত্য তাঁর কাব্যিক করতলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। উদ্ভট উটের পিঠে স্বদেশকে চলতে দেখেও তিনিই সেই কবি- যিনি বলতে পারেন ‘বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, শামসুর রাহমান স্বৈরাচার-মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা এবং সব অশুভের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে, অসাধারণ শিল্পনৈপুণ্যে কবিতা রচনা করে গেছেন। যতদিন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থাকবে ততোদিন শামসুর রাহমানের কবিতা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে পঠিত হবে।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত এবং বাংলা একাডেমির উপপরিচালক কবি আমিনুর রহমান সুলতান ও শাহাদাৎ হোসেন নিপু। 

 

অপরেশ কুমার ব্যানার্জী 

পরিচালক 

জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ