সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/১০ ফাল্গুন ১৪২৫ শুক্রবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২২তম দিন। গ্রন্থমেলা চলে সকাল ১১:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। গ্রন্থমেলায় আজ ছিল শিশুপ্রহর। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ৩১৪টি।
প্রকাশন তারিখ
: 2019-02-22
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/১০ ফাল্গুন ১৪২৫ শুক্রবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২২তম দিন। গ্রন্থমেলা চলে সকাল ১১:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। গ্রন্থমেলায় আজ ছিল শিশুপ্রহর। সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ৩১৪টি।
শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন ॥ শিশুকিশোর সংগীত ॥ শিশুকিশোর সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতার পুরস্কার প্রদান
সকাল ১০:৩০টায় অমর একুশের উদ্যাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সংগীত প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করে বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা : ক-শাখায় আনায়া জাকির হোসেন (প্রথম), এস. এম নাহিয়ান (দ্বিতীয়) এবং তাহেরুননেসা রিচি (তৃতীয়) ; খ-শাখায় আল মুমিনুর (প্রথম), অর্নিলা ভৌমিক (২য়) এবং মেহেনাজ আক্তার নাদিয়া (তৃতীয়); গ-শাখায় আফরিদা ফারহানা খান (প্রথম) নবনীতা হালদার (দ্বিতীয়) এবং নাফিসা তাবাসসুম অথৈ (তৃতীয়) স্থান লাভ করে।
শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা : ক-শাখায় সুব্রানা আলী সোহা ও তানজিম বিন তাজ প্রত্যয় (প্রথম), সহিষ্ণু আইচ ও সিদরাতুল মুনতাহার (দ্বিতীয়), আফরা আদিলা রিমঝিম ও জাহিন জারা তাবাসসুম (তৃতীয়)। খ-শাখায় গার্গী ঘোষ ও তানিশা জাহান নরিকা (প্রথম), মোঃ রেজওয়ানুল করিম তানভীর ও অধরা সরকার (দ্বিতীয়) এবং উম্মে তাসনিয়া বুশার ও মৈত্রেয়ী ঘোষ (তৃতীয়) স্থান লাভ করে।
শিশু-কিশোর উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা : নিসার বিন সাইফুল্লাহ জাহিন (প্রথম), কাশফিয়া কাওসার চৌধুরী (দ্বিতীয়) এবং শাঁওলী সামরিজা (তৃতীয়)। সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা : মো. মুনতাজিম রহমান সায়মন (প্রথম), নুসাইবা নাজমী খান ও তাইয়্যেবা (দ্বিতীয়) এবং মোঃ শাহারিয়ার আহম্মেদ (তৃতীয়) স্থান লাভ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুরা লেখাপড়া করে কেবল ডাক্তার-প্রকৌশলী হবে এমন নয়। সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তারা বিশ্ববিখ্যাত হতে পারে। আমি আশা করি আমাদের শিশুরা একদিন তাদের মেধা ও মনন দিয়ে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার শতবর্ষ : ফিরে দেখা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মাহবুবুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাইফুদ্দীন চৌধুরী, আলী হোসেন চৌধুরী এবং এম আবদুল আলীম। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।
প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা সাহিত্য সাময়িকীর ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে শতবর্ষ আগে ১৯১৮ সালে প্রকাশিত বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত দুটি সাহিত্য পত্রিকা। এর একটি হচ্ছে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মোজাম্মেল হক সম্পাদিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা। সবশেষে বলবো, এই সময়ের সাহিত্যসাময়িকীগুলি বিষয়-বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা সেই বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল। তাছাড়া বাংলার মুসলমান সম্প্রদায়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য, লোকায়ত জীবন ও লোকসংস্কৃতির উপাদান তুলে ধরাকে পত্রিকাটি অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিল। সবেচেয় বড় কথা, ধর্মনির্ভর সাহিত্য-চর্চার প্রবল ধারার মধ্যে থেকে ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্যচর্চার একটা ধারা লক্ষ করা গিয়েছিল বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’য়। শতবর্ষের সাধনায় সে ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা হয়ে উঠেছিল বাঙালি মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রযাত্রার অন্যতম বাহন। নামে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা হলেও এ সাময়িকপত্রটি অসাম্প্রদায়িক মানববাদের চর্চা করেছে। বিশেষত এই পত্রিকায় প্রকাশিত রচনাসমূহ ইহজাগতিক মূল্যবোধ এবং সমাজের প্রগতিশীল বিকাশের চিন্তাকে ধারণা করেছে বিপুলভাবে।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র শতবর্ষ প্রকৃতপক্ষেই এক উদ্যাপনীয় বিষয়। শতবর্ষ আগে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার বাহন হিসেবে যে সাময়িকপত্র তিমিররাত্রি ভেদ করে উদার ভোরের বার্তা নিয়ে এসেছিল; সে পত্রিকা নিয়ে বাংলা একাডেমির বিশেষ আয়োজন ধন্যবাদের যোগ্য।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন প্রকাশিত গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন আলমগীর রেজা চৌধুরী, মোস্তফা সেলিম, মোহাম্মদ সেলিম, সাধনা আহমেদ এবং খন্দকার স্বনন শাহরিয়ার।
কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি কুমার চক্রবর্তী, জাহানারা পারভীন, মুস্তাফিজ শফি, মাহবুব আজীজ, তুষার কান্তি দাশ, মাজুল হাসান, প্রত্যয় জসীম এবং আয়শা ঝর্ণা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ফয়জুল আলম পাপ্পু এবং মো. মাহমুদুল হাকিম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল লায়লা হাসানের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘নটরাজ’; সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’, নাঈম হাসান সুজার পরিচালনা নৃত্যসংগঠন ‘নৃত্যজন’ এবং ইমন চৌধুরীর পরিচালনায় নৃত্যসংগঠন ‘ফাল্গুনী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংস্থা’র শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনা।
আগামীকালের কর্মসূচি :
আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/১১ ফাল্গুন ১৪২৫ শনিবার। মেলা চলবে সকাল ১১:০০টা থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত। শিশুপ্রহর : আগামীকাল সকাল ১১:০০টা থেকে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান : বাংলাদেশের প্রকাশনা : অতীত ও বর্তমান
বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের প্রকাশনা : অতীত ও বর্তমান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মাহরুখ মহিউদ্দিন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ফরিদ আহমেদ, মোহাম্মদ ইশতাক হোসেন এবং এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ