Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ মার্চ ২০১৯

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদযাপন এবং গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠান


প্রকাশন তারিখ : 2019-03-25

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষ্যে এবং ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ স্মরণে গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আজ ১১ই চৈত্র ১৪২৫/২৫শে মার্চ ২০১৯ সোমবার বিকেল ৪:০০টায় একাডেমির রবীন্দ্রচত্বরে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। গণহত্যা : হাড়ের এ ঘরখানি শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও সাংবাদিক জাহীদ রেজা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, জাতীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত এবং প্রজন্ম ৭১-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. সাইদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

স্বাগত ভাষণে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার কালরাত পেরিয়ে বাংলাদেশ একাত্তরে জেগে ওঠেছে মুক্তিযুদ্ধের মহা-ভোরের মোহনায়। এই জাগরণকে আজ জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্য ও স্বার্থক করে তুলতে হবে।

প্রবন্ধিক বলেন, একাত্তরে যে শিশুটির বয়স ছিল পাঁচ বছর, সে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়, দেশকে অতীত বিস্মৃত হতে দেখে, পাকিস্তানি দালালদের আস্ফালন দেখে এ দেশে, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী হতে দেখে, পাশাপাশি জাহানারা ইমামের গণআদালত দেখে, গণজাগরণ মঞ্চ দেখে, ঘাতকদের বিচার হতে দেখে। এবং এক সময় সে শিশুটি উপলব্ধি করে, নশ্বর জীবনে তাঁর আয়ু একদিন শেষ হবে, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, তাদের সবাই একদির মারা যাবে, কিন্তু টিকে থাকবে এই দেশটা, যার নাম বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশ টিকে থাকবে, যদি এ দেশের মানুষেরা যুগের পর যুগ ধরে তাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে লালন করে। যদি এ দেশমাতৃকার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে, তাঁদের সম্মান করে এবং আক্ষরিক অর্থেই বুঝে বলে, ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়।’

আলোচকবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার ঊষালগ্নে নৃশংস ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পাক হানাদার বাহিনী বাংলার আত্মাকে বিধ্বস্ত ও বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এ অঞ্চলের উদার-অসাম্প্রদায়িক-মানবতাবাদী মানুষ তাদের স্বাধীনতার অদম্য আকাক্সক্ষাকে বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্ব-নৈপুণ্যে বাস্তবে রূপ দিয়ে পাকবাহিনীর বর্বরতার জবাব দিয়েছে। তাঁরা বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনদাবির বাস্তবায়নকল্পে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পাদন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। তবে কলঙ্কমুক্তির কাজ এখনও শেষ হয়নি। বহু যুদ্ধপরাধী ব্যক্তি ও সংগঠন এখনও বিচারের আওতায় আসেনি। আর সমাজের সর্বস্তর থেকে যুদ্ধাপরাধী এবং গণহত্যার দোসরেরা এখনও নির্মূল হয়নি। তাই সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক জাগরণ ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের সবার জন্যই বড় বেদনার। ৭১-এর আজকের এই দিনে বাঙালিদের উপর যে নির্মম গণহত্যা শুরু হয় তা চলে একাত্তরের পুরো ন’মাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর পরিচালিত নৃশংস গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও অর্জন হয়নি। আমরা আশা করি সরকারের প্রয়াস এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শুভ বিবেকÑঅবশ্যই এই স্বীকৃতি আদায় করবে।

রাত ৯:০০টা থেকে ৯:০১মিনিট পর্যন্ত গণহত্যায় শহিদ স্মরণে বাংলা একাডেমিতে প্রতীকী ব্লাক-আউট পালন করা হবে।

আগামীকালের কর্মসূচি : 
আগামীকাল ২৬শে মার্চ ২০১৯ ॥ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
আগামীকাল ১২ই চৈত্র ১৪২৫/২৬শে মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার সকাল ৮:০০টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

বিকেল ৫:০০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একাডেমির রবীন্দ্রচত্বরে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অপরেশ কুমার ব্যানার্জী 
পরিচালক 
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ