সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ August ২০১৯
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে সেমিনার আয়োজন
প্রকাশন তারিখ
: 2019-08-19
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে আজ ৪ঠা ভাদ্র ১৪২৬/১৯শে আগস্ট ২০১৯ সোমবার বিকেল ৪:০০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সেমিনার আয়োজন করা হয়। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। বঙ্গবন্ধুর বাঙালি সত্তা শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি।
স্বাগত ভাষণে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলা একাডেমি ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর আসন্ন জন্মশতবর্ষকে সামনে রেখে গ্রহণ করেছে বছরব্যাপী বিপুল কর্মসূচি। স্বল্পতম সময়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর চীন ভ্রমণের আলেখ্য পুস্তকাকারে প্রকাশের বিষয়ে আশাবাদী। এছাড়া পর্যায়ক্রমিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের বিশ্লেষণমূলক ১০০টি বই প্রণয়ন ও প্রকাশের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর বাঙালি সত্তা শীর্ষক বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি সত্তা এক ও অভিন্ন। তিনি ছিলেন বাঙালি সত্তার প্রকৃত প্রতিনিধি। বাঙালি জনগোষ্ঠীর আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর সারাজীবনে ও কর্মে। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি এবং বাঙালি জাতীয়তাবোধ তাঁর কর্মপ্রেরণার মর্মমূলে কাজ করেছে সবসময়। রাজনীতি-জীবনের শুরু থেকেই শেখ মুজিব বাঙালির উৎপত্তি, বিকাশধারা এবং পূর্বাপর বিষয়ে সচেতন ছিলেন। বাঙালিকে রাষ্ট্রক্ষমতার স্বাদ দিতে তিনি যেমন প্রয়াসী ছিলেন তেমনি একটি ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর মৌল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে পৌঁছুতে তিনি ভাষা আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তাঁর নিরন্তন সংগ্রাম জারি রেখেছেন। বাঙালি জনগণও তাঁর ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ এমপি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী কেবল শোকের নয়, সংকল্পেরও। কারণ, তিনি আমাদের স্বাধীনতামুখী সংকল্পে উদ্বুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, পৃথিবীর বুকে উপহার দিয়েছেন একটি সংবিধান, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরই আদর্শে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বৈষম্য এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংকল্পই হবে আমাদের প্রধান কর্তব্য।
সভাপতির ভাষণে ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি বলেন, বাঙালি সত্তার মৌল কেন্দ্রে যে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ, বৈষম্যহীন আর্থসামাজিক ধারণা এবং উদার-প্রগতিমুখী অভিযাত্রার চেতনা নিহিত আছে; বঙ্গবন্ধু তাঁর গোটা জীবনে তা ধারণ করে গেছেন। ঔপনিবেশিক আধিপত্যের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার সোনালি ঊষার পানে তিনি নিয়ে গেছেন বাঙালি জাতিকে। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন দিয়ে বাঙালি সত্তার প্রতি তাঁর অবিচল ভালোবাসা প্রকাশ করে গেছেন, তাঁরই পথরেখায় আমরা এগিয়ে চলেছি সমৃদ্ধ-আধুনিক বাংলাদেশের দিকে।
অপরেশ কুমার ব্যানার্জী
পরিচালক
জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ