Wellcome to National Portal
বাংলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ August ২০২২

জাতীয় শোক দিবস ২০২২


প্রকাশন তারিখ : 2022-08-15
বাংলা একাডেমি আজ ৩১শে শ্রাবণ ১৪২৯/১৫ই আগস্ট ২০২২ সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস স্মরণে দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। সকালে  বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) করা হয়। একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার নেতৃত্বে সকাল ৭:০০টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ধানমন্ডিস্থ ৩২নং সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১১.৩০টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান, পরিচালক, উপপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্টের শহিদ স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২:৩০টায় বাংলা একাডেমির প্রধান ফটক থেকে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে অসচ্ছ্বল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। 
 
বেলা ৩:০০টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের জাতীয় পুরাণ নির্মাণে শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর অবদান’  শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু—সহ ১৫ই আগস্টের শহিদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশনস—এর ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক জেরেমি কদ্রন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রাক্তন প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। 
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ও সমার্থক শব্দ—প্রায়। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড এবং লাল—সবুজের পতাকা অর্জন করেছি। আজও তাঁরই প্রেরণায় আমরা এগিয়ে চলেছি উন্নত—সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে। যত চেষ্টাই হোক না কেন বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলাদেশ একাকার হয়ে গেছে। জীবদ্দশায় তিনি যেমন আমাদের সংগ্রাম ও সংকল্পে প্রতীক ছিলেন, শাহাদাতের এত বছর পরও তিনি তাঁর সেই স্থানেই স্বমহিমায় বিরাজিত রয়েছেন।
 
অধ্যাপক জেরেমি কদ্রন বলেন, বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের জাতিপুরাণ নির্মাণে বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের ভূমিকা অসামান্য। শেখ মুজিবুর রহমান সঙ্গতই উপলব্ধি করেছিলেনÑ জাতীয় পুরাণ নির্মাণে ঐতিহ্য ও সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। তাঁর আত্মজীবনীতে তিনি নিজ বংশ এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের সুদীর্ঘ পরম্পরা সন্ধান করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই তিনি বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তির মহাপুরাণ নির্মাণ করেছেন। 
কবি কামাল চৌধুরী বলেন, বাঙালির শুদ্ধতম নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঐতিহাসিক এক মহাজীবনে তাঁর সংগ্রাম, অর্জন ও আত্মত্যাগ কখনও বিস্মৃত হবার নয়। ঘৃণ্য ঘাতকেরা তাঁকে হত্যা করে বাঙালির ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করতে চেয়েছিল কিন্তু বাঙালি বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও সমাধিস্থল টুঙ্গিপাড়া থেকে প্রতিনিয়ত নিয়ে চলেছে সাহস, সংকল্প এবং এগিয়ে যাওয়ার দুরন্ত প্রেরণা। 
 
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে সফল করার পাশাপাশি স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে আমাদের সামগ্রিক মুক্তির পথ সুগম করেছেন কিন্তু ঘাতকের দল তাঁকে হত্যা করে জাতি হিসেবে আমাদের অগ্রগতিকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে। আজ আমরা আবার বঙ্গবন্ধু প্রদর্শিত পথে বাংলাদেশকে আলোকযাত্রায় এগিয়ে নিতে সংকল্পবদ্ধ হয়েছি। 
 
সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন নিপু। 
 
 
মোহাম্মদ আকবর হোসেন  
উপপরিচালক